বকশীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে এডহক কমিটি গঠনের পাঁয়তারা

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নগর মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে এডহক কমিটি গঠনের পাঁয়তারা করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।

জানা গেছে, বাট্টাজোাড় নগর মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর একটি এডহক কমিটি অনুমোদন দেন ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড। এরপর চলতি বছরের গত ৭ এপ্রিল ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সে অনুসারে গত ১৬ এপ্রিল প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কর্তৃক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২৭ এপ্রিল ব্যবস্থাপনা কমিটির বিভিন্ন ক্যাটাগরির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুজন শিক্ষক প্রতিনিধি, একজন সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি, একজন সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য ও একজন দাতা সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৩ জুন গঠিত এডহক কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়।

এরমধ্যে স্থানীয় একজন অভিভাবক এই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জামালপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে আটকে যায় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন।

কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিজল হক নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তথ্য গোপন করে গত ১ জুলাই ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে দ্বিতীয়বার এডহক কমিটির গঠনের অনুমতি চান। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৪ জুলাই এডহক কমিটি গঠনের অনুমতি প্রদান করেন শিক্ষাবোর্ড।

এ খবর জানাজানি হলে পূর্বের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দ্বিতীয়বার এডহক কমিটি অনুমোদন না দিতে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত আবেদন করেন। গত ১৮ আগস্ট শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক সদস্যসহ আটজন এই আবেদন করেন।

তারা প্রধান শিক্ষকের আবেদন করা এডহক কমিটি গঠনের অনুমতি না দিতে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি মো. রুহুল আমিন জানান, প্রধান শিক্ষক স্বার্থ হাসিলের জন্য গোপনে এডহক কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন। বিজ্ঞ আদালতে দায়েরকৃত মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই এডহক কমিটির অনুমোদন নেওয়ার জন্য গোপনে তদবির করছেন প্রধান শিক্ষক সহিজল হক।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, আদালত এডহক কমিটির বিষয়ে কোনো আদেশ না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক বোর্ডের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।

প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।