মেলান্দহে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী-পুত্রের স্বীকৃতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের স্ত্রী জাহেরা বেগম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মো. মুত্তাছিম বিল্লাহ্, মেলান্দহ (জামালপুর) সংবাদদাতা
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের স্ত্রী ও সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ জুলাই দুপুরে মেলান্দহ রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেরা বেগম (৫০) ও ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫)।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় মেলান্দহ উপজেলার আগপয়লা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার মাছিমপুর গ্রামে চলে যান। সেখানে হেলাল উদ্দিনের এতিম কিশোরী মেয়ে জাহেরা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে শরিফুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন। শরিফুলের বয়স যখন এক বছর, তখন আব্দুল জলিল তাদের ছেড়ে মেলান্দহে চলে আসেন। এরপর থেকে জলিল তার দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেরা বেগম এবং পুত্র শরিফুলের খবর নেন নি। ওদিকে জলিলের পূর্বের স্ত্রীর সাথে ঘর সংসার করা কালে তিন সন্তান জন্ম নেয়।

২০০৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল তার স্ত্রী জাহেরা বেগম এবং ছেলে শরিফুলকে ডেকে নিজ এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। একই সময় তাদেরকে নিজ বাড়িতে ঘর তুলে দেন। কিছুদিন পর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল মারা যান। এরপর থেকে আব্দুল জলিলের আগের স্ত্রী ও ছেলেরা তার দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেরা বেগম এবং ছেলে শরিফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এ নিয়ে এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বার ও স্বজনরা দেনদরবারও করেছেন। অবশেষে বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না জাহেরা বেগম ও তার একমাত্র ছেলে শরিফুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল জীবিত থাকাবস্থায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী-পুত্রকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। আমার পরিষদ থেকে তাকে টেউটিন ও ভিজিডি কার্ড করে দিয়েছিলাম। আগের স্ত্রী ও সন্তানদের অত্যাচারে দ্বিতীয় স্ত্রী-পুত্র চলে গেছে।

এ প্রসঙ্গে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তামিম আল ইয়ামীন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের স্ত্রী জাহেরা বেগম ও ছেলে শরিফুলের আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।