বকশীগঞ্জে এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষণ, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন হবে গ্রামের নারীদের

বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ২৪ জন তরুণীকে দর্জি ও এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় দর্জি ও এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর কাজে লেগে গেছে এসব তরুণীরা। ফলে এখন থেকে কারো মুখাপেক্ষি হতে হবে না চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া তরুণীদের। এতে করে নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা বাড়বে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

দাতা সংস্থা অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ রি-কল ২০২১ প্রকল্পের উদ্যোগে বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মাদারের চর গ্রাম উন্নয়ন সংঘের আওতায় ১০ জন তরুণী ও দেওয়ানগঞ্জের কান্দির গ্রাম গ্রাম উন্নয়ন সংঘের আওতায় ১৪ জন তরুণীদের দর্জি ও এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গত ৪ মে থেকে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে ৩০ জুন শেষ হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে রি-কল ২০২১ প্রকল্প কাজ করছে। বকশীগঞ্জ উপজেলায় চারটি ইউনিয়ন ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নে উন্নয়ন সংঘ রি-কল ২০২১ প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। লক্ষিত জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন ও নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করা, দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য হাঁস, দুধ উৎপাদন, ডিম সংগ্রহ, পরিবেশ বান্ধব ফসল উৎপাদনে নারী-পুরুষকে প্রশিক্ষণ এবং উপকরণ বিতরণ করা হয়। একই সাথে যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ২৪ জন তরুণীকে দর্জি ও এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

যুবদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন ট্রেডে ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ করে তরুণীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দর্জি ও এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি তরুণীকে কাজ শেখার জন্য সেলাই মেশিন, কাপর, কেঁচি, ফ্রেমসহ দর্জি ও এমব্রয়ডারি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এই এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষকও ছিলেন একজন নারী। প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিটি তরুণী নিজ নিজ বাড়িতে দর্জির কাজ ও এমব্রয়ডারি কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসব তরুণীদের দর্জি ও এমব্রয়ডারি কাজ করার মাধ্যমে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক সংকট দূর হবে অপরদিকে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এতে করে তরুণীরা শুধু ক্ষমতায়িত হবে না এদেরকে অন্যান্য যুবক-যুবতীরাও অনুসরণ করবে।

উন্নয়ন সংঘ রি-কল ২০২১ প্রকল্পের সমন্বয়কারী জ্যোৎস্না আক্তার বলেন, আমাদের কর্মএলাকার পিছিয়ে পরা মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ও নারীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত করার জন্য অক্সফ্যামের সহায়তায় রি-কল ২০২১ প্রকল্পের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক নারী এই প্রকল্পের সহযোগিতায় নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তাদেরও অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে।