র‌্যাবের অভিযানে সিএনজিচালক হত্যা মামলার আসামি রজন গ্রেপ্তার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলাচিঠিডটকম

জামালপুর সদরের রানাগাছা ইউনিয়নে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নবী সালাম (৫৮) নামের একজন সিএনজি অটোরিকশাচালক হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মো. রজন (১৫) নামের এক বখাটে কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ১৬ জুন সকালে উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের দড়িহামিদপুর গ্রামের একটি সেচঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রজন দড়িহামিদপুর পোড়াবাড়ী গ্রামের মো. সেলিম মিয়ার ছেলে। ১৪ জুন রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৪ জুন রাত ৮টার দিকে জামালপুর-ময়মনসিংহ সড়কের দড়িহামিদপুর এলাকায় সিএনজি অটোরিকশাচালক নবী সালাম একজন ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হন। রানাগাছা ইউনিয়নের দড়িহামিদপুর পোড়াবাড়ী গ্রামের সেলিম মিয়ার বখাটে ছেলে রজন একাই সদরের নান্দিনা বাজার থেকে নবী সালামের সিএনজি অটোরিকশাটি ভাড়ায় রিজার্ভ করে রওনা হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর জামালপুর-ময়মনসিংহ সড়কের দড়িহামিদপুর এলাকায় রজন অটোরিকশাটি থামিয়ে চালক নবী সালামকে বুকের ওপরের দিকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে তিনি নিহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ধারালো ছুরিটি উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর থেকেই রজন গা ঢাকা দিয়েছিল।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জুয়েল রানা বাদী হয়ে ১৫ জুন জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় রজনকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার জোনাঈদ আফ্রাদের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল আসামি রজনকে ধরতে অভিযানে নামে। র‌্যাবের দলটি ১৬ জুন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থল দড়িহামিদপুর এলাকায় একটি মাছের খামারের পশ্চিম কোণায় সেচপাম্প ঘর থেকে রজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নিহত নবী সালামের মোবাইল ফোন সেটটি জব্দ করা হয়। পরে তাকে জামালপুর সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

র‌্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক জোনাঈদ আফ্রাদ বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘সিএনজি অটোরিকশাচালক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি খুবই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি রজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। তাকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’