সরিষাবাড়ীতে নদীতে ডুবে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু

সরিষাবাড়ীর ঝিনাই নদীতে ডুবে মারা যায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি আক্তার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ছোটভাইকে কোলে নিয়ে ঝিনাই নদী পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে বৃষ্টি আক্তার (১২) নামের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। অল্পের জন্য বেঁচে গেছে তার সহোদর ইব্রাহীম (৮)। ৭ জুন দুপুর পৌনে ১টার দিকে শিশুটি পানিতে নিখোঁজ হলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। শিশুটি উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ভবানীপুর তেঁতুলতলা গ্রামের কৃষক মো. হারুন মিয়ার মেয়ে এবং সে ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

ডোয়াইল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হিটলার উদ্দিন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলারচিঠিডটকমকে  জানান, ভবানীপুর তেঁতুলতলা গ্রামের কৃষক মো. হারুন মিয়ার মেয়ে বৃষ্টি তার সহোদর ছোটভাই ইব্রাহীমকে কোলে নিয়ে ৭ জুন বেলা পৌনে ১টার দিকে বাড়ির কাছেই ঝিনাই নদীর ছোট একটি চর হেটে পার হয়। ওপারে আরেক চরে যাওয়ার সময় পানি কম মনে করে সেখানে নামামাত্রই বৃষ্টি পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে। ইব্রাহীমকে ধাক্কা দিয়ে পাড়ে রাখতে পারলেও পানিতে ডুবে যায় বৃষ্টি। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় একজন লোক ওই স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় ইব্রাহীমকে কাঁদতে দেখে তার কাছ থেকে জানতে পারেন তার বোন বৃষ্টি পানিতে ডুবে গেছে।

এ ঘটনা জানাজানি হলে প্রথমে স্থানীয় লোকজন এবং জেলেরা ঘটনাস্থলে জাল ফেলে শিশুটির অনুসন্ধান চালায়। খবর পেয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন দু’জন ডুবুরি নিয়ে ঘটনাস্থলে শিশুটির অনুসন্ধানে নামেন। এক পর্যায়ে ডুবুরি মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. মোশারফ হোসেন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলের কাছেই বৃষ্টিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ সময় হাজারো উৎসুক মানুষ সেখানে ভিড় করেন। শিশুটির মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘শিশু বৃষ্টি নদীর পানিতে ডুবেই মারা গেছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শিশুটির মরদেহ তার বাবা-মা’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আফছার উদ্দিন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘ঝিনাই নদীতে শিশু ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে জামালপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দু’জন ডুবুরিসহ তিন সদস্যের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা বেলা সাড়ে ৫টার দিকে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।’