মাদারগঞ্জে আটদিন ধরে নিখোঁজ এক ছাত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

নিখোঁজের আটদিনেও জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীর কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ ও তার পরিবারের স্বজনরা। গত ৫ এপ্রিল রাতে নিখোঁজের পরের দিন মেয়েটির বাবা ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সাতদিন পর ১২ এপ্রিল ওই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করেছে পুলিশ।

অভিযোগে জানা গেছে, ওই মেয়েটি এ বছর উপজেলার সুখনগরী বফাত উদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ৫ এপ্রিল রাত ১টার দিকে সে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই রাতে তাকে খুঁজে না পেয়ে মেয়েটির বাবা পরের দিন দুপুরে মামলা দায়েরের উদ্দেশে তার মেয়েকে অপহরণের একটি লিখিত অভিযোগ করেন মাদারগঞ্জ মডেল থানায়।

ওই অভিযোগে মেয়েটিকে উত্যক্তকারী একই ইউনিয়নের নাদাগাড়ি গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. মোজাম্মেল হোসেন আকন্দের কলেজ পড়ুয়া ছেলে শিজল আকন্দ, তার দুই বন্ধু লিটন ও রাতুল মিয়া এবং মামা আব্দুর রাজ্জাকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মেয়েটির বাবা বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘ঘটনার পরের দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দেই। আমার ওই অভিযোগ ১২ এপ্রিল মামলা আকারে রুজু করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার আট দিন হয়ে গেলেও আমার মেয়ের কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। এ নিয়ে আমরা খুবই দু:শ্চিন্তায় আছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘নাদাগাড়ি গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন আকন্দের ছেলে শিজল আকন্দ দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনদের জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মেয়েকে উদ্ধার এবং তাকে অপহরণকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘নিখোঁজ মেয়েটির বাবার দেওয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে অপহরণ ও এই কাজে সহায়তার অভিযোগে শিজলসহ ছয়জনকে আসামি করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ও ৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটির সকল আসামিদের গ্রেপ্তার ও মেয়েটিকে উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’ মেয়েটির বাবা অভিযোগ দিলেও মৌখিকভাবে তিনি আগে তার মেয়েকে উদ্ধারের অনুরোধ করায় মামলাটি রুজু করতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. রফিকুল ইসলাম।