সুস্থ আছেন বলেই চিকিৎসা নিতে অনীহা বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার : হানিফ

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে সুস্থ মনে করছেন বলেই হয়তো চিকিৎসা নিতে চাইছেন না।

তিনি বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) নিজেকে সেই পরিমাণ অসুস্থ মনে না করলে তো চিকিৎসা নিতে অনীহাবোধ করবেনই। আমি যদি সুস্থ থাকি, আমাকে কেউ জোর করে চিকিৎসা দিতে চাইলে আমি কি চিকিৎসা নেব?’

হানিফ বলেন, আমিও হয়তো চিকিৎসা নিতে অনীহা প্রকাশ করব। উনি (খালেদা) হয়ত নিজেকে সুস্থ মনে করেছেন, বা চিকিৎসা নেয়ার কোন কারণ নেই মনে করছেন, এই মুহূর্তে তার চিকিৎসার প্রয়োজন নেই মনে করেছেন। সেই কারণে তিনি অনীহা প্রকাশ করতেই পারেন।

আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র মাহবু-উল আলম হানিফ ১০ মার্চ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আইনজীবী আফজাল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুন-অর রশিদ ও কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। তার সমস্ত কিছুর দায়ভার কারা কর্তৃপক্ষের। কোন কয়েদি অসুস্থ্য হলে কারাবিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে দেশের স্বাস্থ্যসেবার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানে তাকে নিয়ে এসছেন। এরপর আর তার চিকিৎসার ব্যাপার নিয়ে কারো কোন অভিযোগ থাকার কথা নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)’র বক্তব্য সম্পকে জানতে চাইলে হানিফ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)’র বক্তব্য সঠিক ভাবে উত্থাপন করা হয়েছে কিনা তা আমরা জানি না। তার বক্তব্যেও একটি খন্ডিত অংশ নিয়ে আলেঅচনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রতিটি নির্বাচনের পরই পরাজিত দল ও প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করেন। তাই ইভিএম পদ্ধতি যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে ব্যালটের সংশ্লিষ্টতা আর থাকে না।

হানিফ বলেন, সিইসি হয়তো এই সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই ইভিএম ব্যবহারের যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তার (সিইসি) বক্তব্যের একটি খন্ডিত অংশ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করার কোন যৌক্তিকতা নেই।

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে হানিফ বলেন, দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় যে সকল সংসদ সদস্য এলাকায় অবস্থান করছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র : বাসস