বকশীগঞ্জে স্বাভাবিক জীবনে ১৩ ভিক্ষুক
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ‘নবীজীর শিক্ষা, করো নাকো ভিক্ষা’ স্লোগান নিয়ে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ১৩ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর ফলে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে তারা। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ৪ মার্চ দুপুরে তাদের পুনর্বাসন করা হয়।
জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্নভাবে জরিপ করে ২৩৫ জন ভিক্ষুকের তালিকা করা হয়। এর মধ্যে বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ৩৩ জন ভিক্ষুক রয়েছে। ভিক্ষুকমুক্ত বকশীগঞ্জ উপজেলা গড়ার লক্ষ্যে দীর্ঘ কয়েক মাস থেকে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতন, ইউপি চেয়ারম্যান ও বিশিষ্টজনদের আর্থিক সহযোগিতায় পুনর্বাসন কর্মসূচির ব্যবস্থা করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ৪ মার্চ পৌর এলাকার ১৩ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়। এরমধ্যে ছয়জনকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ি, দু’জনকে সেলাই মেশিন, একজনকে পিঠা তৈরির উপকরণ ও ৫ হাজার টাকা, দু’জনকে সেলুনের কাজের জন্য ২০ হাজার করে টাকা, একজনকে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসার জন্য ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
উপজেলা মিলনায়তনে ভিক্ষুক পুনর্বাসন অনুষ্ঠানে এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ, উপজেলা টেকনিশিয়ান রাশেদুজ্জামান মিজু, স্থানীয় সাংবাদিকসহ ভিক্ষুক পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুনর্বাসন হওয়া রেখা আক্তার জানান, আমি ইচ্ছাকৃতভাবে ভিক্ষাবৃত্তি পেশায় আসিনি। অভাব অনটন ও নানা কারণেই এ পেশায় এসেছিলাম। তিনি পুনর্বাসনের জন্য পিঠা তৈরির উপকরণ ও ৫ হাজার টাকা পাওয়ায় ভিক্ষা করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, জামালপুর জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা পযায়ে পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। পযায়ক্রমে সকল ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করে প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির মানুষ তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তার কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন।