দেওয়ানগঞ্জে ধারালো ব্লেডের পোচে ছাত্রী আহত, থানায় মামলা

অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ধারালো ব্লেডের পোচে এভাবেই রক্তাক্ত জখম করেছে নবম শ্রেণির ছাত্রী বির্থীর হাত। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বিথী আক্তার (১৫) নামের এক ছাত্রীকে ধারালো ব্লেডের পোচ দিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ৩ মার্চ সকালে ওই ছাত্রীর বাবা মো. বাদশা মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উপজেলার বালুগ্রাম দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালামের বখাটে ছেলে বিপ্লব ও অজ্ঞাত আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। ২ মার্চ সকালে উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ মোড়ে ওই ছাত্রীর ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের হলকার চর গ্রামের দরিদ্র কৃষক বাদশা মিয়ার মেয়ে বিথী আক্তার দেওয়ানগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার দিন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সে তাদের বাড়িতে রয়েছে।

ওই ছাত্রীর বাবা মো. বাদশা মিয়া বাংলারচিঠি ডটকমকে জানান, তার মেয়ে বিথী কিছুদিন ধরে অসুস্থ। মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। ২ মার্চ সে নিজে থেকেই বিদ্যালয়ে যেতে চায়। ২ মার্চ সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিথী বিদ্যালয়ে যায়। বিদ্যালয়ে গিয়ে ফের সে অসুস্থবোধ করলে শিক্ষকদের বলে বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য ইজিবাইকে ফিরছিল।

পথে ইজিবাইকটি চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ মোড়ে পৌঁছুলে ছয়জন বখাটে যুবক ইজিবাইকের গতিরোধ করে বিথীকে টেনেহিঁচরে নামায়। এমন সময় বিপ্লব নামের এক যুবকের ফোন আসে। ওই যুববকরা বিথীকে বিপ্লবের সাথে কথা বলতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরপরই ওই যুবকরা ধারালো ব্লেড দিয়ে বীথির দুই হাতে ছোটবড় অন্তত ২০টি পোচ দেয়। এতে রক্তাক্তজখম হয়ে গুরুতর আহত হয় সে। এক পর্যায়ে বিথীকে সেখানে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে ওই যুবকরা পালিয়ে যায়। তার ডাকচিৎকারে লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার ক্ষতস্থান ব্যান্ডেজ করাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। পরে দুপুরের দিকে তার স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।

বিথীর বাবা মো. বাদশা মিয়া অভিযোগ করে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘উপজেলার বালুগ্রাম দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালামের বখাটে ছেলে বিপ্লব ফোনে আমার মেয়েকে উত্যক্ত করতো। তাকে ফোন না করার জন্য অনেকবার নিষেধ করেছি। ঘটনার সময় ওই যুবকরা ফোনে আমার মেয়ের সাথে বিপ্লবকে কথা বলাতে চায়। বিপ্লবই তার বন্ধুদের লেলিয়ে দিয়ে আমার মেয়ের হাত কেটে দিয়েছে। মেয়েকে দুপুরে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরও ওই বিপ্লব ফোনে হুমকি দিচ্ছে। আমার মেয়ের ওপর এ হামলার বিচার চাই।’

দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আমিনুল ইসলাম বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘বিথী নামের ওই ছাত্রীকে ব্লেডের পোচে আহত করার ঘটনায় তার বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটির প্রধান আসামি বিপ্লবসহ অজ্ঞাত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’