রানাগাছায় দরিদ্র শিক্ষার্থীরা পেল পিএইচপি’র শিক্ষা উপকরণ, বৃত্তি

দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন পিএইচপি’র কর্মকর্তা ও অতিথিবৃন্দ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

‘আমার বিবেক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা’- এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জামালপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পোওর হেল্পিং পলিসি-পিএইচপি ১০০ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ এবং ১০ জন মেধাবীকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিকেলে সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের খড়খড়িয়া গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের এ সহায়তা দেওয়া হয়।

পিএইচপি’র সভাপতি ব্যাংক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম রেজার সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পিএইচপি’র সদস্য ও মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও চিকিৎসক আহসান হাবিব আদনান, নান্দিনা সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদুর রহমান, শিক্ষিকা নূরুন্নাহার বেগম, ছাহেরা বেগম, রিকতা খাতুন, শাহিনা আক্তার, শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মো. লিটন, দৈনিক কালের কণ্ঠের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা মনজু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পিএইচপি’র সদস্য আলফাজুর রহমান।

দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষাবৃত্তির টাকা তুলে দেন পিএইচপি’র কর্মকর্তা ও অতিথিবৃন্দ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম
পিএইচপি’র কর্মকর্তা, সদস্য ও অতিথিদের সাথে সহায়তা পাওয়া শিক্ষার্থীবৃন্দ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

পরে রানাগাছা ইউনিয়নের ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বাছাই করা দরিদ্র ও মেধাবী ১০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থী ১০টি খাতা, একটি জ্যামিতি বক্স, পাঁচটি বলপেন, দুটি পেন্সিল, একটি ইরেজার ও একটি করে সার্পনার পেয়েছে। এছাড়া ১০জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে এককালীন বৃত্তি দেওয়া হয়। সংগঠনের ৬১ জন সদস্য নিজেদের উপার্জন থেকে সামর্থ অনুযায়ী চাঁদা দিয়ে শিক্ষার্থীদের এই সহায়তা দেওয়া হয়।