জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এক দালালের জেল, দু’জনের অর্থদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

দালালদের দৌরাত্ম্য এবং প্রতারক চক্রের দানবীয় আগ্রাসন থেকে সাধারণ রোগীদের নিস্তার দিতে অনেক আলোচনা সমালোচনার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. আবু আব্দুল্লাহ খান ও স্নিগ্ধা দাস এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার নারায়নপুর এলাকার মনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফ হোসেন নামে এক দালাল হাসপাতালের ওষুধ নেওয়ার জন্য ১০টি টিকেট বাইরে সরবরাহ করার সময় পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম মো. আবু আব্দুল্লাহ খান অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় দালাল আশরাফ হোসেনকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

এ ছাড়া নির্বাহী হাকিম আবু আব্দুল্লাহ খান জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের বাইরে চরের ওষুধ মার্কেটের সিদ্দিক ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে মিথ্যা বিজ্ঞাপন প্রচারণায় ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারায় জামালপুর সদর উপজেলার কুটামনি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাইফুল ইসলামকে (২৫) ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

একই দিন এই ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী হাকিম স্নিগ্ধা দাস জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ফটক সংলগ্ন মিথ্যা বিজ্ঞাপন প্রচারণায় ক্রেতাদের প্রতারিত করার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারার অপরাধের জন্য মেলান্দহ উপজেলার রেখিরপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মো. হুমায়ুনকে (৩৬) ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

জামালপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক স্বাগত সাহা ও জামালপুর সদর থানার একদল পুলিশ এ অভিযানে অংশ নেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং তিন অপরাধীর বিরুদ্ধে জেল জরিমানার কথা স্বীকার করেছেন নির্বাহী হাকিম মো. আবু আব্দুল্লাহ খান।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অপরাধীদের জেল জরিমানা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।


বাংলারচিঠি’র ফেসবুক পাতা fb.com/BanglarChithi