প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

মির্জা আজম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর-৩ মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের পক্ষে ২১ নভেম্বর বিকেলে মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের কণিষ্ঠ সহোদর জামালপুর শহর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলর সদস্য মির্জা জিল্লুর রহমান শিপন প্রতিমন্ত্রীর নামে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ সময় মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম তার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলারচিঠিডটকমকে বলেছেন, ভোটার তালিকার সিডি ও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করিয়েছি। দুই উপজেলার ভোটার তালিকা প্রিন্ট বা ফটোকপি করাসহ অনেক কাজ গোছাতে হবে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে নেতাকর্মীদের।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের কাছ থেকে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের মনোনয়ন ফরম ও ভোটার তালিকার সিডি সংগ্রহ করেন প্রতিমন্ত্রীর কণিষ্ঠ সহোদর আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা জিল্লুর রহমান শিপন। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে একাধারে পাঁচবার ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৮ম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ এবং ৯ম জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ ছিলেন। তিনি ৫ম সংসদে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির, ৭ম সংসদে সরকারি প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত কমিটির এবং বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এবং ৯ম সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। একই বছরের ১৩ জানুয়ারি তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

জানা গেছে, জামালপুরের উন্নয়নের রূপকার খ্যাত মির্জা আজমের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন শতভাগ নিশ্চিত ধরে নিয়েই দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা দীর্ঘ দিন ধরে সাংগঠনিকভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে আসছে। ৬ষ্ঠবারের মতো তাকে বিজয়ী করতে এ আসনের দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিনের অপেক্ষা করছেন।