মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিকামী জনতার ত্যাগের মূলমন্ত্রই ছিল বঙ্গবন্ধু : প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম

জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। ছবি : আলী আকবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর॥
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মুক্তিকামী লাখ লাখ জনতার ত্যাগের মূলমন্ত্রই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্যই জিয়া-মুশতাকরা চক্রান্ত করে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।’

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ৩১ আগস্ট বিকেলে জামালপুর শহরের বকুলতলায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাকিস্তানী পরাজিত শত্রুরা যেমন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। ওই একই চক্র ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ নিজে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছেন।’

মির্জা আজম বলেন, ‘বিজয়ের আনন্দ বেশি দিন থাকে না। কিন্তু পরাজিত শত্রুরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। তাই বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই বাংলাদেশের মাটিতে একাত্তরে নির্বিচারে মানুষ হত্যা ও নারীধর্ষণকারীদের স্থান হবে না।’ তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত শত্রুদের যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম হীরা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, আইনজীবী আমান উল্লাহ আকাশ, সোহরাব হোসেন বাবুল ও জি এস এম মিজানুর রহমান, জামালপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্মআহ্বায়ক হাসিনা আকাশ, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মসিউর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল চিশতী, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ ও সাধারণ সম্পাদক হুরমুজ আলী হিরু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সৈয়দ তানভীর আহাম্মেদ, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা ও সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিহাদুল আলম, জেলা যুব মহিলালীগের আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমিন লিটা প্রমুখ।