তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে রাতে মুখোমুখি ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম

বাংলার চিঠি ডটকম ডেস্ক॥
রাশিয়ার বিশ্বকাপের ‘জি’ গ্রুপে পড়েছিল ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম। গ্রুপপর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। কালিনিনগ্রাদের ওই ম্যাচের আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তাদের। তাই শেষ ম্যাচটি ছিল গ্রুপচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই। কিন্তু সেই ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে গ্রুপ রানাসআপ হয় ইংলিশরা। এ হার নিয়ে ওঠে গুঞ্জন। সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে এড়াতেই নাকি ওই ম্যাচে জেতার চেষ্টা করেনি ইংলিশরা। কিন্তু ১৪ জুলাই আবার মুখোমুখি দুই দল। এবার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। ১৪ জুলাই মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

রাশিয়ার বিশ্বকাপের ফেভারিটদের তালিকায় ছিল না ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের নাম। তবে টুর্নামেন্টের ‘ডার্ক হর্স’ ছিল দল দুটি। সোনালি প্রজন্মের একঝাঁক খেলোয়াড় নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়েছিল তারা। ফাইনালে উঠতে না পারলেও দারুণ সফল এক টুর্নামেন্ট পেরিয়ে দুই দলই এখন ইতিহাসের সামনে।

বেলজিয়াম কখনো শিরোপার স্বাদ পায়নি। বিশ্বকাপে দলটি সর্বোচ্চ সাফল্য পেয়েছিল ১৯৮৬ সালে। সেবার চতুর্থ হয়েছিল দল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় ফ্রান্সের কাছে হেরে। এবার সেমিফাইনালে সেই ফ্রান্সের কাছে হেরেই দ্বিতীয়বারের মতো তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে লুকাকু-হ্যাজার্ডদের বেলজিয়াম।

এদিকে বিশ্বকাপে একবারই ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালে প্রথম ও শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। তার পর থেকেই শিরোপা অধরা দলটির। এবার সেই সম্ভাবনা ভালোভাবেই জাগিয়ে তুলেছিল হ্যারি কেনের ইংল্যান্ড। ১৯৯০ সালের পর প্রথমবারের মতো সেমি ফাইনালে উঠেছিল ইংলিশরা। কিন্তু সেমিফাইনালে এসে ক্রোয়েশিয়ার কাছে স্বপ্নভঙ্গ। সেবার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় ইতালির কাছে হেরে চতুর্থ হয়েছিল ইংল্যান্ড। গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যদের সামনে ১৪ জুলাইয়ের ম্যাচটি তৃতীয় স্থান নিয়ে শেষ করে নতুন ইতিহাস লেখারও বটে।

কোচ সাউথগেট বলেন, আমাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না এটি কত বড় কষ্টের। কিন্তু আমাদের সামনে এখনো একটি ম্যাচ রয়েছে। এই ম্যাচ দিয়ে আমরা কোনো স্বপ্ন পূরণ করতে পারব না। তবুও বিশ্বকাপের ম্যাচ হিসেবে এটিও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ জয় করা অনেক বড় কিছু। তাই এই ম্যাচ জিতে আমরা ভালোভাবে বিশ্বকাপ শেষ করতে চাই। ছেলেদের মনের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। তবে তারা বাস্তবতার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। বেলজিয়ামের বিপক্ষে খেলার জন্য মুখিয়ে আছে পুরো দল। আশা করবো, তৃতীয় হয়েই বিশ্বকাপ শেষ করতে পারব আমরা।

ইংল্যান্ডের মতো তৃতীয় স্থান চায় বেলজিয়ামও। তবে কাজটি কঠিন হবে বলে মনে করেন বেলজিয়ামের কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল সেমিফাইনাল খেলা। আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি। তার পরও ছেলেদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আমাদের ফাইনালে যাওয়ার ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছিল, কিন্তু ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না। তবে বিশ্বকাপের শীর্ষ চারের মধ্যে আমরা থাকতে পারব। আমার মনে হয়, এটি আমাদের জন্য দুর্দান্ত অর্জন। এ অর্জনকে আরও ভালোভাবে শেষ করার উপায় এখন আমাদের সামনে। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জিততে পারলে আমরা চ্যাম্পিয়ন- রানাসআপ দলের পরই থাকতে পারব। তাই এই সুযোগটা আমরা নিতে চাই। ইংল্যান্ড পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলেছে। তাদের হারানো সহজ হবে না।
সূত্র: এবিনিউজ২৪ ডটকম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *