আসমাউল আসিফ : নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম 
জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে আইনজীবী গোলাম নবী সভাপতি এবং আইনজীবী রিশাদ রেজওয়ান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি-জামাত সমর্থিত প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন। কার্যকরী পরিষদের ১৫টি পদের মধ্যে নয়টিতে বিএনপি, পাঁচটিতে জামায়াত ও একটি পদে বামপন্থী আইনজীবী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের পাঁচজন স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাদের কেউ জয়ী হতে পারেননি।
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদে মোট ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিএনপি-জামাত সমর্থিত ‘আইনজীবী ঐক্য পরিষদ‘ ও বামপন্থী দল সমর্থিত ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’আলাদা দুটি প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নেয়। আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ মোট নয়জন বিজয়ী হয়েছেন।
তাদের মধ্যে সভাপতি পদে আইনজীবী মো. গোলাম নবী ১৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৫২ ভোট। সহ-সভাপতি পদে আইনজীবী মো. আব্দুল আওয়াল ২১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি এবং অপর সহ-সভাপতি পদে বিএনপির আইনজীবী মো. জামিল হাসান তাপস ২০৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এই দুই পদেই হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপির আইনজীবী রিশাদ রেজওয়ান বাবু ১৭৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আইনজীবী মো. শামসুজ্জোহা ইসমাইল পেয়েছেন ১২২ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিএনপির আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন ও জামায়াতের আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ আল মতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
অডিটর পদে ২১৭ ভোট পেয়ে বিএনপির আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম রাজু নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গণতন্ত্র মঞ্চের আইনজীবী মো. মতিয়র রহমান পেয়েছেন ১২৯ ভোট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতের আইনজীবী শামীমা তাসনিম সাথী পাঠাগার ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে বিএনপির আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম মোহন ১৩৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আইনজীবী সাজিদুল ইসলাম সাজু পেয়েছেন ১০৯ ভোট।
ছয়টি সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়জন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির তিনজন, জামায়াতের দু’জন ও গণতন্ত্র মঞ্চের একজন বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপির আইনজীবী শাহাজাদা মিয়া সুমন পেয়েছেন ২৬৪ ভোট, আইনজীবী আল আমিন ২৩৩ ভোট ও আইনজীবী মাহমুদা আক্তার স্বপ্না ২২২ ভোট, জামায়াতের আইনজীবী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন ২২৩ ভোট ও আইনজীবী আছিমুল ইসলাম ২১৫ ভোট এবং গণতন্ত্র মঞ্চের আইনজীবী আজাদী হাসান মামুন সদস্য পদে ২০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মধ্যরাত পর্যন্ত চলে ভোট গণনা। ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী মুহাম্মদ আব্দুল বারী নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেন।
