ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষকে রক্তের বন্ধনের শুভেচ্ছা রিডার্স ক্লাবের নিয়মিত পাঠচক্র অনুষ্ঠিত নকলায় চরাঞ্চলের কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে পানিফল চাষ করে স্বাবলম্বী মাদারগঞ্জে বিধবা ইয়াসমিনের পাশে দাঁড়াল যুবদল, দিচ্ছে নতুন ঘর নিলাখিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তনের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ শেরপুরে ঘর-বাড়ি উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন শেরপুরে সালমান শাহ্ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শেরপুরে তিনটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন বাবার উত্তরসূরীরা সরিষাবাড়ী হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড , ডাক্তারের দূরদর্শিতায় প্রাণে বাঁচল প্রসূতি, নবজাতক

শস্য চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়বে কোটি কোটি মানুষ : জাতিসংঘ প্রধান

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ১৭ জুলাই বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে শস্যচুক্তির মেয়াদ আর বাড়াচ্ছে না রাশিয়া। এতে বিপাকে পড়তে যাচ্ছে বিশ্বের কোটি কোটি ক্ষুধার্ত মানুষ। মস্কোর চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

১৭ জুলাই শস্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে আর তা না বাড়ানোর বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এরপর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব এই সিদ্ধান্তে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এরই মধ্যে ক্ষুধায় ধুকছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে হিমশিম খাচ্ছে। শস্য চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের কারণে আরও মূল্য দিতে হবে এসব মানুষদের।

গুতেরেস আরও বলেন, মস্কোর এই পদক্ষেপ বিশ্বের সর্বত্র অভাবী ও দরিদ্র লোকদের বিপাকে ফেলবে। নির্বিঘ্নে খাদ্যশস্য রফতানির জন্য শস্য চুক্তি নবায়ন করা হবে-এমন আশা করছিল জাতিসংঘ। চুক্তি নবায়নের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠিও লিখেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনের খাদ্য শস্য রফতানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত বছরের জুলাই মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ‘কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি’ নামে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। এরপর আরও কয়েকবার চুক্তিটি নবায়ন করা হয়েছে এবং এর অধীনে ইউক্রেন প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ টন শস্য ও অন্যান্য খাবার সরবরাহ করেছে।

১৭ জুলাই ছিল চুক্তিটি নবায়নের শেষ দিন। তবে রাশিয়া বেশ আগে থেকেই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে মস্কো।

মস্কো চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোয় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাও (ডব্লিউটিও)। সংস্থার প্রধান এক টুইট বার্তায় বলেছেন, কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাবার, পশু খাদ্য ও সার বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী খাবারের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, এর জন্য গরিব মানুষ ও গরিব দেশগুলো সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষকে রক্তের বন্ধনের শুভেচ্ছা

শস্য চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়বে কোটি কোটি মানুষ : জাতিসংঘ প্রধান

আপডেট সময় ১১:৫১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ১৭ জুলাই বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে শস্যচুক্তির মেয়াদ আর বাড়াচ্ছে না রাশিয়া। এতে বিপাকে পড়তে যাচ্ছে বিশ্বের কোটি কোটি ক্ষুধার্ত মানুষ। মস্কোর চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

১৭ জুলাই শস্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে আর তা না বাড়ানোর বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এরপর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব এই সিদ্ধান্তে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এরই মধ্যে ক্ষুধায় ধুকছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে হিমশিম খাচ্ছে। শস্য চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের কারণে আরও মূল্য দিতে হবে এসব মানুষদের।

গুতেরেস আরও বলেন, মস্কোর এই পদক্ষেপ বিশ্বের সর্বত্র অভাবী ও দরিদ্র লোকদের বিপাকে ফেলবে। নির্বিঘ্নে খাদ্যশস্য রফতানির জন্য শস্য চুক্তি নবায়ন করা হবে-এমন আশা করছিল জাতিসংঘ। চুক্তি নবায়নের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠিও লিখেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনের খাদ্য শস্য রফতানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত বছরের জুলাই মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ‘কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি’ নামে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। এরপর আরও কয়েকবার চুক্তিটি নবায়ন করা হয়েছে এবং এর অধীনে ইউক্রেন প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ টন শস্য ও অন্যান্য খাবার সরবরাহ করেছে।

১৭ জুলাই ছিল চুক্তিটি নবায়নের শেষ দিন। তবে রাশিয়া বেশ আগে থেকেই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে মস্কো।

মস্কো চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোয় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাও (ডব্লিউটিও)। সংস্থার প্রধান এক টুইট বার্তায় বলেছেন, কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাবার, পশু খাদ্য ও সার বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী খাবারের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, এর জন্য গরিব মানুষ ও গরিব দেশগুলো সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বে।