ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : সরিষাবাড়ীতে আনন্দ শোভাযাত্রা, দোয়া মাহফিল শেরপুরে জোরপূর্বক জমি ও দোকানপাট দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন আমরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছি : এমপি প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলাম গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : বকশীগঞ্জে আনন্দ শোভাযাত্রা জামালপুরের নবনিযুক্ত জেলা কালচারাল অফিসার তমাল বোস জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগে হামলার প্রতিবাদে ২৬ অক্টোবর শেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ মাদারগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ধানের শীষে ভোট দিলে ৩১ দফার ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে : শামীম তালুকদার শ্রেষ্ঠ এসিল্যান্ড সম্মাননা পেলেন বকশীগঞ্জ ইউএনও শাহ জহুরুল মাদারগঞ্জে বিএনপির মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

শেরপুরে জোরপূর্বক জমি ও দোকানপাট দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শেরপুর : সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী মো. আনিসুর রহমান মিন্টু। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার বাজারে স্বত্ত¡দখলীয় জমি ও দোকানপাট জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো. আনিসুর রহমান মিন্টু (৬২)। তিনি শেরপুর জেলা সদর উপজেলার গাজীরখামার কান্দাপাড় সরকারবাড়ির, রেকায়েত উল্যাহর ছেলে।

২৬ অক্টোবর, রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার গাজীর খামার বাজারে সৃজন পাবলিক স্কুলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আনিসুর রহমান মিন্টু বলেন, শেরপুর সদর উপজেলার আওতাধীন গাজীরখামার মৌজার সিএস-৪৭২ নম্বর সিএস খতিয়ান, আরওআর-২২৬৫ নম্বর দাগের ২ দশমিক ৩০ একরের কাতে উত্তরাংশে দশমিক ৪৬ একর জমি আমার দাদা রহমতউল্লাহ সরকার ক্রয়সূত্রে মালিক। আমরা ওয়ারিশসূত্রে উক্ত জমির মালিক এবং দীর্ঘ সময় ধরে ভোগদখল করে আসছি।

বিবাদী সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের বরাটিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হাজির ছেলে মো. মোবারক আলী মোগা, মো. লাল মিয়া, মো. ফারুক মিয়া, মো. মন্ডল মিয়া ও মো. মনির ওই জমিজমা ভূয়া কাগজমূলে নিজেদের বলে দাবি করেন। তারা প্রায় সময়ই আমাদের প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এমনকি ওই জমিতে থাকা দোকানপাটের ভাড়াটিয়াদের দোকানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে আমরা কাজের শ্রমিক দ্বারা ওই দোকান ঘরের সংস্কার কাজ করার সময় ২৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বিকালে বিবাদী পক্ষের লোকজন ওই সংস্কার কাজে বাধা দেন। তখন প্রতিবাদ করলে তারা আমাকেসহ আমাদের ওয়ারিশদের মারপিট করতে উদ্যত হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন এবং সাক্ষী মো. সাদ্দাম মিয়া, মো. আব্দুল মমিন ও মো. কান্দু মিয়া সেখানে উপস্থিত হলে তারা আমাদের হুমকি দিয়ে যায় যে, পুনরায় ওই দোকান ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করার চেষ্টা চালালে আমাদেরসহ আমার দোকানের ভাড়াটেদের খুন করে ফেলবে। দোকান ঘর ছেড়ে না গেলে দোকানে থাকা মালামাল লুটপাট করবে। তাদের এমন আচার আচরণ ও হুমকিতে আমিসহ আমাদের দোকানের ভাড়াটেরা ও পরিবার-পরিজনের সকল সদস্য জানমালের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে শেরপুর সদর থানায় ২৪ অক্টোবর, শুক্রবার সাধারণ ডায়েরি করেছি। এছাড়া ঘটনাটির বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বিবাদী পক্ষের লাল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা ক্রয়সূত্রে জমির মালিক। এ বিষয়ে পরবর্তীতে কাগজপত্রসহ বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : সরিষাবাড়ীতে আনন্দ শোভাযাত্রা, দোয়া মাহফিল

শেরপুরে জোরপূর্বক জমি ও দোকানপাট দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ১০:০৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার বাজারে স্বত্ত¡দখলীয় জমি ও দোকানপাট জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো. আনিসুর রহমান মিন্টু (৬২)। তিনি শেরপুর জেলা সদর উপজেলার গাজীরখামার কান্দাপাড় সরকারবাড়ির, রেকায়েত উল্যাহর ছেলে।

২৬ অক্টোবর, রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার গাজীর খামার বাজারে সৃজন পাবলিক স্কুলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আনিসুর রহমান মিন্টু বলেন, শেরপুর সদর উপজেলার আওতাধীন গাজীরখামার মৌজার সিএস-৪৭২ নম্বর সিএস খতিয়ান, আরওআর-২২৬৫ নম্বর দাগের ২ দশমিক ৩০ একরের কাতে উত্তরাংশে দশমিক ৪৬ একর জমি আমার দাদা রহমতউল্লাহ সরকার ক্রয়সূত্রে মালিক। আমরা ওয়ারিশসূত্রে উক্ত জমির মালিক এবং দীর্ঘ সময় ধরে ভোগদখল করে আসছি।

বিবাদী সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের বরাটিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হাজির ছেলে মো. মোবারক আলী মোগা, মো. লাল মিয়া, মো. ফারুক মিয়া, মো. মন্ডল মিয়া ও মো. মনির ওই জমিজমা ভূয়া কাগজমূলে নিজেদের বলে দাবি করেন। তারা প্রায় সময়ই আমাদের প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এমনকি ওই জমিতে থাকা দোকানপাটের ভাড়াটিয়াদের দোকানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে আমরা কাজের শ্রমিক দ্বারা ওই দোকান ঘরের সংস্কার কাজ করার সময় ২৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বিকালে বিবাদী পক্ষের লোকজন ওই সংস্কার কাজে বাধা দেন। তখন প্রতিবাদ করলে তারা আমাকেসহ আমাদের ওয়ারিশদের মারপিট করতে উদ্যত হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন এবং সাক্ষী মো. সাদ্দাম মিয়া, মো. আব্দুল মমিন ও মো. কান্দু মিয়া সেখানে উপস্থিত হলে তারা আমাদের হুমকি দিয়ে যায় যে, পুনরায় ওই দোকান ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করার চেষ্টা চালালে আমাদেরসহ আমার দোকানের ভাড়াটেদের খুন করে ফেলবে। দোকান ঘর ছেড়ে না গেলে দোকানে থাকা মালামাল লুটপাট করবে। তাদের এমন আচার আচরণ ও হুমকিতে আমিসহ আমাদের দোকানের ভাড়াটেরা ও পরিবার-পরিজনের সকল সদস্য জানমালের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে শেরপুর সদর থানায় ২৪ অক্টোবর, শুক্রবার সাধারণ ডায়েরি করেছি। এছাড়া ঘটনাটির বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বিবাদী পক্ষের লাল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা ক্রয়সূত্রে জমির মালিক। এ বিষয়ে পরবর্তীতে কাগজপত্রসহ বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।