ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টিকিট কালোবাজারি জামাল গ্রেপ্তার, ৮টি টিকিট জব্দ শেরপুর দোকান মালিক ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠিত মাদারগঞ্জে সেচ্ছাসেবকদল নেতার গোয়ালঘরের তালা ভেঙে আটটি গরু চুরি নিরাপদ সড়ক দিবস : জামালপুরে শোভাযাত্রা, পথসভা ও হেলমেট বিতরণ দেওয়ানগঞ্জে মাদরাসাছাত্র হত্যা : দুই আসামিকে আটকাদেশ ইসলামপুরে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ, কাগজে কলমেই প্রকল্প সীমাবদ্ধ মাদারগঞ্জে পতিত জমিতে কৃষি কর্মকর্তার বিষমুক্ত সবজি বাগান মাদারগঞ্জে ফলিত পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু অভিজ্ঞতার গল্পগুলো মনের পুষ্টি যোগায় : কিশোরীদের সাথে মতবিনিময় সভায় ইউএনও জিন্নাত শহীদ পিংকী সরিষাবাড়ীতে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, থানায় অভিযোগ

দুর্নীতি : জামালপুরে জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক হান্নানের শাস্তি চায় নার্স-কর্মচারীরা

সহকারী পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে নার্স ও কর্মচারীরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সহকারী পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে নার্স ও কর্মচারীরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক, দুর্নীতিবাজ আবু হান্নানের তাৎক্ষণিক বদলির দাবিতে সহকারী পরিচালকের অফিস ঘেরাও করেছেন হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীরা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস সহকারী পরিচালকের।

২৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ভুক্তভোগী নার্স ও কর্মচারীরা প্রধান সহকারী আবু হান্নান, মুদ্রাক্ষরিক হাবিব ও স্টেনো টাইপিস্ট আব্দুল ওয়াদুদ খেদাও আন্দোলনে অংশ নেন।

আন্দোলনকরীরা জানান, মো. আবু হান্নান ২০০০ সালে জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে অফিস সহকারী হিসেবে যোগদান করেন। ২০১০ সালে তার দূরসম্পর্কের মামা জামালপুর শহর আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতার ক্ষমতাকে ব্যবহার করে প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক বনে যায়। তারপর থেকেই হাসপাতালের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের কর্তৃত্ব চলে আসে তার হাতে। ডাক্তার ও কর্মচারীদের নানা সুযোগ সুবিধাদী, হাসপাতালের পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ ও আয়-ব্যয় নিয়ন্ত্রণে নেন। আর এসব খাত থেকে নানা ফাঁদ ও কৌশল সৃষ্টি করে, দুর্নীতিবাজদের নানা সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করে দিয়ে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম করে মাত্র ১৫ বছরে তিনি বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। বর্তমানে তিনি জামালপুরের ইকবালপুরে বাড়ি, আমিনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে ৫০ লক্ষাধিক টাকার জমি ও ঢাকার উত্তরায় বহুতল বাড়ির মালিক। রয়েছে ব্যবসা বাণিজ্য ও কিনেছেন আবাদী জমিও।

এছাড়া হান্নান ব্লাড ব্যাংকের আমিনুল ইসলাম, দর্জি মামুন, রেডিওলজিস্ট আবুল কালাম ও আলট্রাসোনোগ্রাফি বিভাগের আয়াকে নিয়ে সরকারি অর্থআত্মসাতের একটি চোরাচক্র তৈরি করেছিলেন। যারা ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি আদায় করে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে আত্মসাত করতেন।

তার এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান তাকে শাস্তি স্বরূপ নেত্রকোনার খালিয়াজুড়িতে বদলী করেছিলেন। কিন্তু, তার ক্ষমতার খুঁটির জোরে সে কয়েক মাসের মাথায় আবার জামালপুরে চলে আসেন। শুধু তা-ই না শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের প্রধান সহকারীর দায়িত্ব নেন। এভাবে নানা সময় তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও তিনি টাকা দিয়ে সবাইকে কিনে ফেলতেন। আর অভিযোগকারীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আরও খড়গ জারি করতেন। তার গেঁড়াকল থেকে সহকারী পরিচালক ডা. আল আমিন, আরএমও ডা. শফিক, ডা. ফেরদৌস হাসান, ডা. কামরুজ্জামানসহ নার্স, কর্মকর্তা, সরকারি বেসরকারি কর্মচারী কেউ রেহাই পাননি।

এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, আন্দোলনকারীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টিকিট কালোবাজারি জামাল গ্রেপ্তার, ৮টি টিকিট জব্দ

দুর্নীতি : জামালপুরে জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক হান্নানের শাস্তি চায় নার্স-কর্মচারীরা

আপডেট সময় ০৯:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
সহকারী পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে নার্স ও কর্মচারীরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক, দুর্নীতিবাজ আবু হান্নানের তাৎক্ষণিক বদলির দাবিতে সহকারী পরিচালকের অফিস ঘেরাও করেছেন হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীরা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস সহকারী পরিচালকের।

২৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ভুক্তভোগী নার্স ও কর্মচারীরা প্রধান সহকারী আবু হান্নান, মুদ্রাক্ষরিক হাবিব ও স্টেনো টাইপিস্ট আব্দুল ওয়াদুদ খেদাও আন্দোলনে অংশ নেন।

আন্দোলনকরীরা জানান, মো. আবু হান্নান ২০০০ সালে জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে অফিস সহকারী হিসেবে যোগদান করেন। ২০১০ সালে তার দূরসম্পর্কের মামা জামালপুর শহর আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতার ক্ষমতাকে ব্যবহার করে প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক বনে যায়। তারপর থেকেই হাসপাতালের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের কর্তৃত্ব চলে আসে তার হাতে। ডাক্তার ও কর্মচারীদের নানা সুযোগ সুবিধাদী, হাসপাতালের পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ ও আয়-ব্যয় নিয়ন্ত্রণে নেন। আর এসব খাত থেকে নানা ফাঁদ ও কৌশল সৃষ্টি করে, দুর্নীতিবাজদের নানা সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করে দিয়ে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম করে মাত্র ১৫ বছরে তিনি বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। বর্তমানে তিনি জামালপুরের ইকবালপুরে বাড়ি, আমিনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে ৫০ লক্ষাধিক টাকার জমি ও ঢাকার উত্তরায় বহুতল বাড়ির মালিক। রয়েছে ব্যবসা বাণিজ্য ও কিনেছেন আবাদী জমিও।

এছাড়া হান্নান ব্লাড ব্যাংকের আমিনুল ইসলাম, দর্জি মামুন, রেডিওলজিস্ট আবুল কালাম ও আলট্রাসোনোগ্রাফি বিভাগের আয়াকে নিয়ে সরকারি অর্থআত্মসাতের একটি চোরাচক্র তৈরি করেছিলেন। যারা ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি আদায় করে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে আত্মসাত করতেন।

তার এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান তাকে শাস্তি স্বরূপ নেত্রকোনার খালিয়াজুড়িতে বদলী করেছিলেন। কিন্তু, তার ক্ষমতার খুঁটির জোরে সে কয়েক মাসের মাথায় আবার জামালপুরে চলে আসেন। শুধু তা-ই না শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের প্রধান সহকারীর দায়িত্ব নেন। এভাবে নানা সময় তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও তিনি টাকা দিয়ে সবাইকে কিনে ফেলতেন। আর অভিযোগকারীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আরও খড়গ জারি করতেন। তার গেঁড়াকল থেকে সহকারী পরিচালক ডা. আল আমিন, আরএমও ডা. শফিক, ডা. ফেরদৌস হাসান, ডা. কামরুজ্জামানসহ নার্স, কর্মকর্তা, সরকারি বেসরকারি কর্মচারী কেউ রেহাই পাননি।

এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, আন্দোলনকারীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।