ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টিকিট কালোবাজারি জামাল গ্রেপ্তার, ৮টি টিকিট জব্দ শেরপুর দোকান মালিক ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠিত মাদারগঞ্জে সেচ্ছাসেবকদল নেতার গোয়ালঘরের তালা ভেঙে আটটি গরু চুরি নিরাপদ সড়ক দিবস : জামালপুরে শোভাযাত্রা, পথসভা ও হেলমেট বিতরণ দেওয়ানগঞ্জে মাদরাসাছাত্র হত্যা : দুই আসামিকে আটকাদেশ ইসলামপুরে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ, কাগজে কলমেই প্রকল্প সীমাবদ্ধ মাদারগঞ্জে পতিত জমিতে কৃষি কর্মকর্তার বিষমুক্ত সবজি বাগান মাদারগঞ্জে ফলিত পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু অভিজ্ঞতার গল্পগুলো মনের পুষ্টি যোগায় : কিশোরীদের সাথে মতবিনিময় সভায় ইউএনও জিন্নাত শহীদ পিংকী সরিষাবাড়ীতে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, থানায় অভিযোগ

সমাপ্ত হলো শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী চরণতলার কালীপূজা

ঐতিহ্যবাহী চরণতলার কালীপূজার মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

ঐতিহ্যবাহী চরণতলার কালীপূজার মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী চরণতলার কালীপূজা। উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের শ্রীশ্রী কালিমাতা মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কালিপূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৯ মে সকাল থেকে শুরু হয়ে ১০ মে রাত পর্যন্ত চলে কালিপূজা ও মেলা।

আয়োজকরা জানান, এবার মেলায় পুণ্যার্থীসহ প্রায় অর্ধলাখ মানুষের সমাগম ঘটে। মেলা কর্তৃপক্ষ বলছেন, এই পূজা আর মেলা শতবছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে এর ভক্তদের সংখ্যা।

জানা যায়, বাংলা বর্ষের বৈশাখ মাসের শেষ সপ্তাহে চরণতলা কালিমাতার মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব কালিপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ৯ মে সকাল থেকে শুরু হয় কালিপূজা। একই সাথে বসে গ্রামীণ মেলা। এ উৎসবকে ঘিরে আয়োজকরা পূজা ও মেলা প্রাঙ্গণকে সাজিয়ে তুলেন রঙিন সাজে। মেলায় সকাল থেকে আসতে থাকে সব বয়সের হিন্দু সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। রাত যত ঘনীভূত হয় লোকের সমাগম ততই বাড়তে থাকে।

পূজা অয়োজন কমিটির সদস্য নির্মল পাল এ প্রতিবেদককে বলেন, ভক্তরা ফুল, কলা, জল আর পাঠা বলি দিয়ে মায়ের চরণে প্রার্থনা করেন। মনের বাসনা আর মানত পূরণে মন্দিরের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়েও প্রার্থনা করেন ভক্তরা। এই কালিপূজাকে ঘিরে মেলায় বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী থেকে শুরু করে নানা পসরা নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। এতে দর্শনার্থীদের মহামিলন মেলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আইনশৃংখলা বাহিনীও থাকে সতর্ক অবস্থানে।

চরণতলা বারোয়ারি কালিপূজা কমিটির সভাপতি পীযুষ কান্তি মোদক এ প্রতিবেদককে বলেন, এই পূজার প্রধান আকর্ষণ পাঠা বলি। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মানত পূরণে রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয় পাঠা বলি। চলে ভোর পর্যন্ত। সবার সহযোগিতায় এই পূজা উপলক্ষে দর্শনার্থীরা আনন্দ উপভোগ করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টিকিট কালোবাজারি জামাল গ্রেপ্তার, ৮টি টিকিট জব্দ

সমাপ্ত হলো শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী চরণতলার কালীপূজা

আপডেট সময় ০৭:৪১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
ঐতিহ্যবাহী চরণতলার কালীপূজার মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী চরণতলার কালীপূজা। উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের শ্রীশ্রী কালিমাতা মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কালিপূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৯ মে সকাল থেকে শুরু হয়ে ১০ মে রাত পর্যন্ত চলে কালিপূজা ও মেলা।

আয়োজকরা জানান, এবার মেলায় পুণ্যার্থীসহ প্রায় অর্ধলাখ মানুষের সমাগম ঘটে। মেলা কর্তৃপক্ষ বলছেন, এই পূজা আর মেলা শতবছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে এর ভক্তদের সংখ্যা।

জানা যায়, বাংলা বর্ষের বৈশাখ মাসের শেষ সপ্তাহে চরণতলা কালিমাতার মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব কালিপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ৯ মে সকাল থেকে শুরু হয় কালিপূজা। একই সাথে বসে গ্রামীণ মেলা। এ উৎসবকে ঘিরে আয়োজকরা পূজা ও মেলা প্রাঙ্গণকে সাজিয়ে তুলেন রঙিন সাজে। মেলায় সকাল থেকে আসতে থাকে সব বয়সের হিন্দু সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। রাত যত ঘনীভূত হয় লোকের সমাগম ততই বাড়তে থাকে।

পূজা অয়োজন কমিটির সদস্য নির্মল পাল এ প্রতিবেদককে বলেন, ভক্তরা ফুল, কলা, জল আর পাঠা বলি দিয়ে মায়ের চরণে প্রার্থনা করেন। মনের বাসনা আর মানত পূরণে মন্দিরের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়েও প্রার্থনা করেন ভক্তরা। এই কালিপূজাকে ঘিরে মেলায় বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী থেকে শুরু করে নানা পসরা নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। এতে দর্শনার্থীদের মহামিলন মেলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আইনশৃংখলা বাহিনীও থাকে সতর্ক অবস্থানে।

চরণতলা বারোয়ারি কালিপূজা কমিটির সভাপতি পীযুষ কান্তি মোদক এ প্রতিবেদককে বলেন, এই পূজার প্রধান আকর্ষণ পাঠা বলি। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মানত পূরণে রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয় পাঠা বলি। চলে ভোর পর্যন্ত। সবার সহযোগিতায় এই পূজা উপলক্ষে দর্শনার্থীরা আনন্দ উপভোগ করেন।