ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি করতে হলে তারেক জিয়ার নামেই স্লোগান দিতে হবে : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ শেরপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ অনুষ্ঠিত জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদে শাকিলের প্রার্থিতা ঘোষণা সরিষাবাড়ীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি মাদারগঞ্জে যুবদলের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় নেতা-কর্মীদের ঢল নরুন্দি রেলস্টেশনে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জামালপুরে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত মাতলামির অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগনেতা নূর হোসেন আবহানী গ্রেপ্তার ইসলামপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় ফাঁকা, কিন্ডার গার্টেন, মাদরাসায় বাড়ছে শিক্ষার্থী মাদারগঞ্জে ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করেছে ছাত্রদল

ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে তিন প্রস্তাব বিএনএফের, চার ইসলামিক ঐক্যজোটের

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে চলমান সংলাপের ৬ষ্ঠ দিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে তিন দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এবং চার দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে)।

২৯ ডিসেম্বর বিকেলে বিএনএফ এর প্রসিডেন্ট এসএম আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এবং ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পৃথক পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন।

সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি জানান, বিএনএফের নেতৃবৃন্দ সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।

তারা নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির মাধ্যমে গঠনের প্রস্তাব করেন এবং এই কমিটিতে অনধিক পাঁচজনকে নিয়োগ করতে পারেন এ কমিটিতে তারা পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেন।

পরে সন্ধ্যায় ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে চার দফা প্রস্তাব পেশ করেন।

প্রস্তাবনাগুলো হলো: সাংবিধানিক পদে থাকা গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য ও ঈমানদার ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে অনুসন্ধান কমিটির সদস্য নির্বাচন করা, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইসি গঠনে একটি স্থায়ী আইনি কাঠামো গঠন; সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা করার জন্য ও স্থায়ী আইন করা এবং সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।

রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

নেতৃবৃন্দেরকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন যাতে গঠন করা যায় সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সুচিন্তিত মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজনীতিতে আর্থিক বিষয়কে প্রাধান্য না দিয়ে নেতাকর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং দলের নীতি-আদর্শকে মূল্যায়ন করতে হবে। গণতন্ত্রকে কেবল নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিনিয়ত চর্চার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে, তিনি যুক্ত করেন।

রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান।

গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম দিনে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাথে সংলাপে বসে রাষ্ট্রপতি হামিদ। এ পর্যন্ত মোট ৮টি রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

চলমান সংলাপের আগামী ২ জানুয়ারি বৈঠক হবে গণফোরামের সাথে সন্ধ্যা ছয়টায় এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এর সাথে সন্ধ্যা সাতটায়, আগামী ৩ জানুয়ারি সংলাপ হবে গণতন্ত্রী পার্টির সাথে সন্ধ্যা ৭ টায় এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সন্ধ্যা সাতটায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।

এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন।

বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি করতে হলে তারেক জিয়ার নামেই স্লোগান দিতে হবে : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ

ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে তিন প্রস্তাব বিএনএফের, চার ইসলামিক ঐক্যজোটের

আপডেট সময় ০৯:১৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে চলমান সংলাপের ৬ষ্ঠ দিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে তিন দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এবং চার দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে)।

২৯ ডিসেম্বর বিকেলে বিএনএফ এর প্রসিডেন্ট এসএম আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এবং ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পৃথক পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন।

সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি জানান, বিএনএফের নেতৃবৃন্দ সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।

তারা নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির মাধ্যমে গঠনের প্রস্তাব করেন এবং এই কমিটিতে অনধিক পাঁচজনকে নিয়োগ করতে পারেন এ কমিটিতে তারা পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেন।

পরে সন্ধ্যায় ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে চার দফা প্রস্তাব পেশ করেন।

প্রস্তাবনাগুলো হলো: সাংবিধানিক পদে থাকা গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য ও ঈমানদার ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে অনুসন্ধান কমিটির সদস্য নির্বাচন করা, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইসি গঠনে একটি স্থায়ী আইনি কাঠামো গঠন; সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা করার জন্য ও স্থায়ী আইন করা এবং সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।

রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

নেতৃবৃন্দেরকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন যাতে গঠন করা যায় সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সুচিন্তিত মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজনীতিতে আর্থিক বিষয়কে প্রাধান্য না দিয়ে নেতাকর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং দলের নীতি-আদর্শকে মূল্যায়ন করতে হবে। গণতন্ত্রকে কেবল নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিনিয়ত চর্চার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে, তিনি যুক্ত করেন।

রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান।

গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম দিনে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাথে সংলাপে বসে রাষ্ট্রপতি হামিদ। এ পর্যন্ত মোট ৮টি রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

চলমান সংলাপের আগামী ২ জানুয়ারি বৈঠক হবে গণফোরামের সাথে সন্ধ্যা ছয়টায় এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এর সাথে সন্ধ্যা সাতটায়, আগামী ৩ জানুয়ারি সংলাপ হবে গণতন্ত্রী পার্টির সাথে সন্ধ্যা ৭ টায় এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সন্ধ্যা সাতটায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।

এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন।

বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।