পুলিশি বাধায় জামালপুর জেলা বিএনপির গণঅনশন দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে

জামালপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে অনশনে অংশ নেয় দলীয় নেতাকর্মীরা। ছবি : মাহমুদুল হাসান মুক্তা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: পুলিশি বাধায় ২০ নভেম্বর রেলস্টেশন চত্বরে ও দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করতে পারেনি জামালপুর জেলা বিএনপি। পরে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিএনপির দেশজুড়ে গণঅনশন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০ নভেম্বর সকাল ৮টার পর থেকেই পূর্বনির্ধারিত জামালপুর রেলস্টেশন চত্বরে অনশনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা সমবেত হতে শুরু করে। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেখানে তাৎক্ষণিক পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই পরিস্থিতিতে কর্তব্যরত পুলিশ বিএনপিকে সেখানে অনশন কর্মসূচি পালন করতে বাধা দেয়। সকাল ৯টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অনশনে বসতে চাইলে সেখানেও পুলিশ বাধা দেয়। পরে জেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গদলের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে গণঅনশনে অংশ নেন। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকে।

গণঅনশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সহ-সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, স্বৈরাচার হটিয়ে বেগম খালেদা জিয়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একজন বয়োজ্যেষ্ঠ এবং গুরুতর অসুস্থ নারী। তার জীবনমরণ সন্ধিক্ষণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যও সরকার তাকে দেশের বাইরে যেতে দিচ্ছে না। খালেদা জিয়ার কিছু হলে সারাদেশে যে জনরোষের সৃষ্টি হবে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য দাবি জানান তিনি। রেলস্টেশনে এবং দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনশনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনেও বাধা দিয়ে পুলিশ অগণতান্ত্রিক আচরণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গণঅনশন কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির অনশন কর্মসূচি পালনে পুলিশ কোন প্রকার বাধা দেয়নি। রেলস্টেশনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকায় বিশৃংখলা এড়ানো এবং জননিরাপত্তার স্বার্থেই সেখানে বিএনপিকে কর্মসূচি পালন করতে নিষেধ করা হয়েছে। পরে তারা দলীয় কার্যালয়ে তাদের কর্মসূচি পালন করেছে।