নকলায় ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করতে ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়ি চেকপোস্ট

নকলায় ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করতে ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়ি চেকপোস্ট। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

সীমান্তবর্তী শেরপুরে জেলার প্রবেশদ্বার হচ্ছে নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার এলাকায়। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে জেলা পুলিশ বসিয়েছেন কড়াকড়ি চেকপোস্ট। কাজ করছেন নকলার ট্রাফিক বিভাগ। কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। ঘর থেকে অপ্রয়োজনে বের হওয়া মানুষদের ঘরে ফেরাতে কাজ করেছে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। অহেতুক ঘোরাফেরা করা মানুষদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানাও গুণতে হয়েছে।

এই চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সাথে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেসব যানবাহন সরকারি নির্দেশনা না মেনে রাস্তায় বের হয়েছেন সেগুলোর বিরুদ্ধে হচ্ছে মামলা। অনেক যানবাহনকে ফেরতও যেতে হচ্ছে। শহরের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছে থানা পুলিশ।

নকলা-নালিতাবাড়ী ট্রাফিক জোনের পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. আশরাফ আকন্দ এ প্রতিবেদককে জানান, সরকারি নির্দেশনা কার্যকর করতে শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী স্যারের দিক নির্দেশনায় আমরা ট্রাফিক বিভাগ কাজ করে যাচ্ছি। জেলায় প্রবেশের একমাত্র উপজেলা হলো নকলা। আর গৌড়দ্বার হয়ে নকলায় প্রবেশ করতে হয়। তাই সীমানায় প্রবেশদ্বারে বসিয়েছি চেকপোস্ট। আমাদের সাথে কাজ করছে থানা পুলিশও। সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে যেসব যানবাহন আসছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা দিচ্ছি। ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা, সিএনজিকে আমরা বুঝিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছি। তারাও বুঝতে শুরু করেছে। জরুরী সেবার যানবাহন ছাড়া রাস্তায় তেমন কোন যানবাহন নেই। জনসচেতনতা বাড়াতে আমরাও নকলা ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ মাস্ক ছাড়া অযথা যেন কেউ ঘরের বাহিরে বের না হয় সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি।