বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২০ পেল ‘স্কুল ৩৬০’

‘স্কুল ৩৬০’ এর পক্ষে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি আওয়ার্ড ২০২০ গ্রহণ করেন ‘স্কুল ৩৬০’ এর প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদুর রহমান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আইসিটি প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

২০১৫ সালে ‘স্কুল ৩৬০’ সাজ্জাদুর রহমানের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে নতুন টেকনোলজির তেমন একটা প্রভাব দেখা যায়নি। কিন্তু তবুও সবার নতুনত্ব টেকনোলজির চাহিদা ছিল। ঠিক তেমনি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা তাদের প্রতিষ্ঠানে চেয়েছিল টেকনোলজির ছোঁয়া। আর এই সুবাদেই, ‘স্কুল ৩৬০’ কে আর পিছনে তাকানো লাগেনি।

২০১৯ সালে ‘স্কুল ৩৬০’ এর প্রথম সারাদেশব্যাপী কাজ করার সুযোগ পায়। এই নতুন যাত্রায় যোগ হন পাঁচজন। সাজ্জাদুর রহমান (ব্যবস্থাপনা পরিচালক), বোরহান গাজী (ডিরেক্টর), ফারদিন মুনতাসির (চীফ অপারেটিং অফিসার), মেহেদী হাসান (চীফ বিজনেস অফিসার)।

বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি আওয়ার্ড ২০২০। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

দেশব্যাপী প্রাইমারি স্কুলের অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম, ক্লাস্টার-বেজড অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম নিয়ে সফলভাবে কাজ করছে ‘স্কুল ৩৬০’। সেই সময় সফলভাবে সাতটি জেলা এবং ১৫০০+ প্রাইমারি স্কুলে এ প্রজেক্ট রান করা হয়।

‘স্কুল ৩৬০’ একই বছরে ড্যাফোডিল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০১৯ এ বিজয়ী হয়। এবং তার মাধ্যেমে এর পরিচিতি আরও বৃদ্ধি পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বেসিস সফট-এক্সপো ২০২০ তে ‘স্কুল ৩৬০’ মনোনীত হয়। এর ফলশ্রুতিতে ‘স্পেট ইনিশিয়েটিভ লিমিটেড’ থেকে ‘স্কুল ৩৬০’ কে ইনোভেশন জোনে রিপ্রেজেন্ট করা হয়।

গত ২৭ জুন বিকাল চারটায় আরটিভি মিলনায়তনে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি আওয়ার্ড পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। বেসিসের পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবিরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ‘স্কুল ৩৬০’ এর পক্ষে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি আওয়ার্ড ২০২০ গ্রহণ করেন ‘স্কুল ৩৬০’ এর প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদুর রহমান।

শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠানটি বেসিস এবং ই-কাব মেম্বার হয়। ‘স্কুল ৩৬০’ তে একটি উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম উম্মোচন করা হয়, যার নাম হচ্ছে- School360-The House of Entrepreneurs.

আওয়ার্ড হাতে ‘স্কুল ৩৬০’ এর প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদুর রহমান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ হয়। যাতে উদ্যোক্তাগণ নিজ এলাকায়, একটি আইটি বিপ্লব ঘটাতে পারে, এবং নিজ স্থান থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারে। সারাদেশে প্রায় ১৫০ উদ্যোক্তা কানেক্টেড রয়েছে যারা নিজ এলাকায় সবাই আইটি সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে। এবং বর্তমানে ৩৫+ জেলায় ‘স্কুল ৩৬০’ সুনামের সহিত কাজ করছে।

উল্লেখ্য যে, গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের আইটি ট্রেনিং এবং সফটওয়্যার ট্রেনিং প্রদান ও ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের পথে আগানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ যে, স্পেট ইনিশিয়েটিভ লিমিটেডের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য এতে যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরামের কো-ফাউন্ডার মোস্তফা কামাল সোহেল, তিনি ব্যান্ড প্রমোশন ও কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এর দায়িত্বে আছেন।

‘স্কুল ৩৬০’ দ্বারা ৪০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় এবং করোনা মহামারীর পর, STEM সেক্টর এ কাজ করার পরিকল্পনা করছে ‘স্কুল ৩৬০’র মধ্যে ই-কমার্স সংযোজন করা হয়েছে, যা শিক্ষা সেক্টরে প্রথম। শিক্ষাক্ষেত্রে ‘স্কুল ৩৬০’র ই-কমার্স টি ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।

আওয়ার্ড গ্রহণ করার পর সাক্ষাৎকার দেন ‘স্কুল ৩৬০’ এর প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদুর রহমান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এছাড়াও স্পেট ইনিশিয়েটিভ লিমিটেডের ‘উকিলদপ্তর’ (অ্যাডভোকেট ব্যবস্থাপনা সফটওয়ার), ‘১ফর্দ’ (ই-কমার্স), ‘achi365’ (মিনি ইআরপি), হাজিরাখাতা (প্রাইমারি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম) রয়েছে। উদ্যোক্তারা নিজ এলাকায় এসব সফটওয়্যার ছাড়াও, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের আইটি ট্রেনিং হাব গঠন করছে। প্রত্যেক জেলায় এসব টেক-হাব, গড়ে তুলবে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ এর জন্য যোগ্য ব্যক্তি।

স্পেট ইনিশিয়েটিভ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত যে ‘স্কুল ৩৬০’ বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২০ তে চ্যাম্পিয়ন হয়, যা একটি স্টার্টআপের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্পেট ইনিশিয়েটিভ লিমিটেড কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে সরকারি সহযোগিতা পেলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।

চীফ অপারেটিং অফিসার ফারদিন মুনতাসির বলেন, ‘এই অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমরা আনন্দিত, এবং ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ এর জন্য আমরা আগাচ্ছি আমাদের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের মডেল নিয়ে।’