বঙ্গবন্ধু নৈতিকতা ও আদর্শ নিয়ে সংগঠন করে মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসা পেয়েছিলেন : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, নৈতিকতা ও আদর্শ নিয়ে সংগঠন করতে পারলে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করা যায়। এর সফল দৃষ্টান্ত হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু নৈতিকতা ও আদর্শ নিয়ে সংগঠন করেছিলেন বলেই মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা পেয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করে দেশের জনগণের মাঝে নৈতিকতা ও আদর্শ নির্ভর রাজনীতির বীজ বপন করে স্বাধীনতার স্বপ্ন বুনেছিলেন। পর্যায়ক্রমে বাঙালি জাতিকে তিনি স্বাধীনতা উপহার দিয়েছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ২৩ জুন সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে দোয়া ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের সেবা করার মহান লক্ষ্যে রাজনৈতিক সংগঠন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ সংগঠনের কর্মীরা নিজেদের দেশপ্রেম, শিক্ষা, চারিত্রিক উৎকর্ষ, বিনয় আর আদর্শ দিয়ে এদেশের মানুষকে সেবা করে যাবে। তবেই রাজনীতি করার লক্ষ্য সাধিত হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ইসলামপুর উপজেলার মানুষের উন্নয়নে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, নানাবিধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট করে দিয়েছেন। এ অঞ্চলের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। শুধু তাই নয় তিনি সারা দেশে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে কেক কাটা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর ধরে স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু কন্যা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আর উন্নত বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা গেলেই দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লক্ষ্য সাধিত হবে।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হোসনে আরা। উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় যুগ্মসাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী জামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বাবুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বারী মন্ডল, অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র আব্দুল কাদের শেখ প্রমুখ।

পরে বিশেষ মোনাজাত শেষে আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে কেক কাটা হয়।