প্যারাগুয়েকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ প্যারাগুয়েকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ২১ জুন ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে প্যাগুয়েকে ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। ফলে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের মধ্যে টানা দুই জয়ে শেষ আটে জায়গা পায় আর্জেন্টিনা। বিজয়ী দলের হয়ে জয়সুচক একমাত্র গোলটি করেছেন আলেহান্দ্রো পাপু গোমেজ।

অভিষেকেই ম্যাচের ১০ মিনিটে গোল আদায় করে নেন পাপু গোমেজ। এতে অবশ্য এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার অবদানই বেশি ছিল। ডান প্রান্ত থেকে দারুণ এক পাস দেন ডি মারিয়া। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিলো আর্জেন্টিনার। গোমেজের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে বল পাঠান জুনিয়র আলনসো। তবে ভিএআর প্রযুক্তিতে ধরা পড়া অফসাইডের কারনে গোলটি বাতিল করেন কর্তব্যরত রেফারি।

এই জয়ে আর্জেন্টিনার সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩ ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট। জয়টি লা আলবাসেলেস্তেেেদর অনায়াসেই ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমনে জর্জরিত ব্রাজিলের দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে এদিন অংশ নিয়েই নতুন এক মাইলফলকে পৌছে গেছেন দলটির বার্সেলোনা সুপার স্টার লিওনেল মেসি। ৬ বারের ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়ী এই তারকা যৌথ ভাবে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বাধিক ম্যাচে অংশগ্রহনকারীর তালিকায় জাভিয়ার মার্সেরানোর সহাবস্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। এই দুই আর্জেন্টাইন ১৪৭টি করে ম্যাচে অংশ নিয়েছেন।

কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরে প্যারাগুয়ে। যদিও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল পায়নি তারা। এই জয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা।

ডিফেন্ডার জার্মান পাজেরা বলেন, ‘আমরা সেরা ছিলাম। তবে উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রথমার্ধে আমরা অসাধারণ খেলেছি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সেই ধারায় ভাটা পড়ে। তবে গোলপোস্টের সামনে তারা খুব বেশী সুযোগ সৃস্টি করতে পারেনি।’

কোপা আমেরিকায় ৯০ মিনিটে এর আগে কখনো আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি প্যারাগুয়ে। আর ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। গোলদাতা পাপু গোমেজকে ওই বলটির যোগানদাতা ছিলেন ডি মারিয়া। নবাগত গোমেজ বলেন, ‘ডি মারিয়ার পাসটি ছিল অসাধারণ। আমি বলটিতে আলতো ছোঁয়া লাগিয়ে শুধুমাত্র জালে জড়িয়েছিলাম।’

এই ম্যাচে অংশগ্রহনের মাধ্যমে দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেললেন আর্জেন্টিনার আরেক তারকা স্ট্রাইকার সার্জিও এ্যাগুয়েরো। ২০১৯ সালের পর এটি ছিল জাতীয় দলের মুল একাদশে তার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেই সঙ্গে মেসি ও ডি মারিয়ার অন্তর্ভুক্তিতে অসাধারণ একটি আক্রমনভাগ গঠিত হয়েছিল আর্জেন্টিনার। প্রতিপক্ষের সীমানায় মেসি ছিলেন সবচেয়ে ব্যস্ততম খেলোয়াড়। তিনি এবং ডি মারিয়া ছিলেন প্রতিপক্ষ দলের ফাউল করার বড় টার্গেট। আর্জেন্টিনার ১১টি ফাউলের বিপরীতে প্যারাগুয়ে ফাউল করেছে ২৩বার।