‘স্যার ডোন্ট মাইন্ড’

শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কৈশোর বান্ধব সেবা কক্ষ

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

স্যার ডোন্ট মাইন্ড। এই সব লোক দেখানো তামাশা বাদ দিয়ে আমাদের জেলা সদর হাসপাতালের সঠিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবেন। কেননা, আমাদের হাসপাতালের নার্সদের রোগীদের সাথে কুত্তার মত যে ব্যবহার, ডাক্তারদের কাছে গেলে গেন্দা গেন্দা ম্যাটস বা প্যারামেডিকেল ছেলেদের দিয়ে চিকিৎসা প্রদান, সরকারি বিভিন্ন মেডিসিন স্টোর রুম বন্ধ এই অজুহাতে বাহির থেকে ক্রয় করতে রোগীদের বাধ্য করাসহ নানান সমস্যা সত্যিই আমাদেরকে খুব হতাশ করে।

কিশোর, কিশোরীরা যাতে সুন্দর পরিবেশে তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারে সেজন্য শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কৈশোর বান্ধব সেবা কক্ষ চালুর বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় কর্তৃক পরিচালিত ফেসবুক পেজে উল্লেখ করে পোস্ট করার পর কমেন্ট অপশনে এসব কথা লেখেন এম এ রফিক নাঈম নামে এক ব্যক্তি।

হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া সেবার মান নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে গেল ১৮ এপ্রিল এ মন্তব্য করেন ওই ব্যক্তি। ২০ এপ্রিল সকালে জেলা সিভিল সার্জন, শেরপুর পেজটি ভিজিট করার সময় এ তথ্য পাওয়া যায়।

ওই ব্যক্তি আরও লেখেন, আমরা শেরপুরবাসী মেডিকেল কলেজ পাইনি, তাই এই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিশাল উচ্চতার হাসপাতালই আমাদের মেডিকেল কলেজ। এখানে পড়তে না পারি কিন্তু চিকিৎসা সেবাত পাবো। তাই আপনাকেও সেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পরিচালক মেজর সাহেবের মত ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ধন্যবাদ।

তার এ কমেন্টের পর আরও বেশ কয়েকজন রিয়েক্ট অপশনে কেউ ভালোবাসা বা কেউ লাইক জানিয়েছেন।

এম টি হাফিজুর রহমান নামে একজন লেখেন, আসুন আমরা সবাই মিলে মৌলিক অধিকার আদায় করে নেই।

আমিও এমন ভুক্তভোগী ৭ দিন ছিলাম শিশু ওয়ার্ডে, নার্সদের ব্যবহার খুবই বাজে এবং অশ্লীল এমন মন্তব্য করেন ফায়জুল্লা ফাহিদ নামে এক ব্যক্তি।

অনেক কিশোর-কিশোরী বিভিন্ন কারণে হাসপাতালে কম আসে। আর চিকিৎসা সেবা নিতে লজ্জা পায়। সব পরিবেশে তারা সব কথা বলতে পারে না। এ কারণে তাদের জন্য আলাদা সেবা কর্ণার খোলা হয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবা প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আবুল কাসেম মোহাম্মদ আনওয়ারুর রউফ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোন ভালো উদ্যোগকে প্রশংসা করার মানসিকতা সবার থাকা উচিত। অল্প অল্প পরিবর্তনের মাধ্যমে একদিন পরিবর্তন আসবেই। বাংলাদেশে চিকিৎসা গ্রহণকারী ও চিকিৎসা প্রদানকারীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো নেই। অথচ এই সম্পর্কটা সুন্দর হওয়া জরুরি। উভয় পক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে।

এ সময় তিনি জানান, আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে জেলা হাসপাতালে নবজাতকদের জন্য আলাদা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র তৈরি করা হবে। আর এটা চালু হলে নবজাতকদের চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হবেনা।