‘পালিয়ে রক্ষা পেল এক কিশোরী’

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

মানবপাচারকারীদের হাত থেকে পালিয়ে এসে রক্ষা পেয়েছে শেরপুরের এক অসহায় কিশোরী। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আজ ৮ এপ্রিল বিকালে রঞ্জু মিয়া (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া চৌরাস্তা বাজারের চা বিক্রেতা মৃত মন্ডল মিয়ার কন্যা। গ্রেপ্তার রঞ্জু একই উপজেলার চিংগুতার গ্রামের দুদা মিয়ার ছেলে।

কিশোরীর স্বজনরা জানায়, গত ২৭ মার্চ রাতে আসমাকে (ছদ্ম নাম) চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে পার্শ্ববর্তী মুদী দোকান মালিক মুছা মিয়ার ছেলে স্বাধীন (২৫) ও কামারদহ গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মোরাদুজ্জামান ফুডা (৪৫) নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার ৬ দিন পর আসমা হঠাৎ বাড়ি ফিরে আসে। সে জানায়, স্বাধীন ও ফুডা তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে নিয়ে যায়। পরে ময়মনসিংহ শহরের এক বাসায় তাকে রেখে দেয়। সেখানে থাকার ৬ দিন পর ওই বাসার মালিক ওদের (স্বাধীন ও ফুডা) গতিবিধি দেখে পাচারকারী হিসাবে সন্দেহ করে। তাকে (কিশোরী) বিক্রি করে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে আসমাকে জানায়। পরে ওই কিশোরী বাসা থেকে পালিয়ে নিজ গ্রামে ফিরে এলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এ নিয়ে গ্রাম্য শালিসের আয়োজন হলে পুরো এলাকায় ঘটনাটি ছড়ে পড়ে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের অন্যতম সদস্য রঞ্জু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। চক্রের মূল হোতা স্বাধীন ও ফুডা পলাতক রয়েছে।

কিশোরীর মা আতিয়ারা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। চা বিক্রি করে কোনো মতে সংসার চালাই। ওদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো সাহস আমগোর নাই।

এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার একজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি দুজনকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলমান আছে।