দেওয়ানগঞ্জে বোরো ক্ষেতে কীটনাশক দিয়ে কপাল পুড়েছে দরিদ্র কৃষকের!

দরিদ্র কৃষক আব্দুল হামিদের বোরো ধান ক্ষেত। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বোরো চাষে ধান ক্ষেতে পোকা দমন করতে কীটনাশক ছিটিয়ে কপাল পুড়েছে এক দরিদ্র কৃষকের। কীটনাশক ব্যবসায়ীর ভুল পরামর্শ ও তার দেওয়া কীটনাশক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষক আব্দুল হামিদ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের উত্তর রহিমপুর গ্রামে।

দরিদ্র কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, চলতি বোরো মৌসুমে তার নিজের জমি না থাকায় পাশ্ববর্তী খোরশেদ আলমের কাছ থেকে ১ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বোরো চাষ করেন। ধানের পোকা দমনে তিনি কীটনাশক ব্যবসায়ী হযরত আলীর পরামর্শে দোকান থেকে কীটনাশক কিনে ফসলে ব্যবহার করেছেন। এতে উপকারের পরিবর্তে উল্টো ক্ষতি হচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন : ‘শেরপুরে আলোক ফাঁদ-এ আশাবাদী লাখো কৃষক’

একদিকে যেমন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে অপরদিকে আর্থিক ক্ষতিরও মুখে পড়েছেন কৃষক। তিনি ভ্যান চালিয়ে পরিবারের খরচ যোগান। ধার দেনা করে ফসল করেন। তার অভিযোগ কীটনাশক ব্যবসায়ীর ভুল পরামর্শ এবং ভেজাল কীটনাশক দেওয়াতে তার ধান পুড়ে নষ্ট হয়েছে।

কীটনাশক ব্যবসায়ী হযরত আলী বলেন, আব্দুল হামিদ তার ক্ষেতে পোকা আক্রমণ করেছে বললে- তার কথায় পোকা দমন করতে বাইজিম ৫০ এসপি ৩ প্যাকেট ও টোপাজ ৭৫ ডাব্লিউ ২ প্যাকেট কীটনাশক দিয়েছি ইস্প্রে করে দেওয়ার জন্য।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ মিয়া বলেন, পোকা রোধ করার জন্য যে কীটনাশক দিয়াছে তাতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ওই ক্ষেতে নেক ব্রষ্টার আক্রমণ করেছে।

অভিযোগকারী দরিদ্র কৃষক আব্দুল হামিদ স্বরেজমিনে তদন্ত পূর্বক কীটনাশক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।