দুর্ভোগ কেটে গেল যমুনার বালুচরের পথচারীদের

আখের ব্যাগাস ফেলায় যাতায়াতে দুর্ভোগ কেটে গেল যমুনার বালুচরের পথচারীদের। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার যমুনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে ধু ধু বালুচর পায়ে হেঁটে যাতায়াত ছাড়া কোন উপায় নেই। যমুনার ভরা যৌবন কিন্তু কালের বিবর্তনে তার যৌবন হারিয়ে এখন মৃত প্রায়। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে একদিকে যেমন বাস্তুহারা করছে চরের মানুষকে অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে যমুনা মরা খালে পরিণত হচ্ছে। প্রতি নিয়তই যমুনার দুর্গম চরের মানুষদের যাতায়াতে দুর্ভোগের শেষ নেই। সদরে আসতে ধু ধু বালুর চরে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

জানা গেছে, শুস্ক মৌসুমে বালুর চরের এই দুর্ভোগ লাঘবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আইনজীবী জামাল আব্দুন নাছের বাবুলের অর্থায়নে সবুজ মিয়ার সহযোগিতায় জনস্বার্থে বালুর চরে আখের ব্যাগাস ফেলে পানি সেচের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করায় স্বস্তি ফিরে পেয়েছে যমুনার চরাঞ্চলবাসী। যমুনার চরাঞ্চলে চারটি ইউনিয়ন সাপধরী, চিনাডুলী, বেলগাছা, নোয়ারপাড়ার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। রাস্তা নির্মাণের ফলে দুই ঘন্টার পথ এখন মাত্র ১০ মিনিটেই যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। অন্যদিকে চরাঞ্চলবাসী তাদের আবাদি কৃষিপণ্য সহজে এবং স্বল্প সময়ে বাজারজাত করতে পারছেন।

আখের ব্যাগাস ফেলায় যাতায়াতে দুর্ভোগ কেটে গেল যমুনার বালুচরের পথচারীদের। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

পথচারীরা জানান, প্রতিমন্ত্রী মহোদয় চরের মানুষের কথা ভেবে আখের ব্যাগ্যাস দিয়ে রাস্তা করে দেওয়ায় আমাদের যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে।

পথচারী কাইজার মিয়া জানান, আমাদের যাতায়াতের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এই রাস্তা হওয়ায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারে। তবে ব্যাগাস ফেলে রাস্তা নির্মাণ করায় মজুতকৃত ব্যাগাসে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে অনেকগুলো আখের ব্যাগাস পুড়ে যায়। এই শত্রুতার জন্য পথচারীরা দুঃখ প্রকাশ করেন।

আখের ব্যাগাস ফেলায় যাতায়াতে দুর্ভোগ কেটে গেল যমুনার বালুচরের পথচারীদের। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়, মাদরাসা, হাসপাতাল, ব্যাংক-বীমা, কমিউনিটি সেন্টার, এনজিও প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মরত লোকজন প্রতিদিন চরাঞ্চলে যাতায়াত করে। এসব মানুষের যাতায়াতের রাস্তাটা হওয়ায় মোটরসাইকেলও চলে। তবে চরের অনেক মানুষ এখনও পায়ে হেঁটেই বিশাল বিশাল চর পারি দেয়।

এ ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানান, চরাঞ্চলবাসীর দুর্ভোগের কথা ভেবেই শুস্ক মৌসুমে চলাচলের সুবিধার্থে আখের ব্যাগাস ফেলে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। যাতে তারা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে।