ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে একমণ ধানের দামেও মিলছে না একজন ধানকাটা শ্রমিক বকশীগঞ্জে আগুনে পোড়া এক নারীর মরদেহ উদ্ধার ছাত্রদলনেতা সাম্য হত্যার বিচার চায় সরিষাবাড়ীর ছাত্রদল মেলান্দহে আগুনে পুড়ে আশি বছরের বৃদ্ধার মৃত্যু ছাত্রদলনেতা সাম্য হত্যার বিচার চায় বকশীগঞ্জের ছাত্রদল বকশীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোচালকের মৃত্যু আওয়ামী লীগ নেত্রী ময়ুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, মাদারগঞ্জে মানববন্ধন জামালপুরে শিশুদের কল্যাণে উপদেষ্টা কমিটি গঠিত বকশীগঞ্জে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস চেয়ে আবেদন

শাল্লায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় ২২ জন গ্রেপ্তার

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোওয়া গাঁও গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙ্গচুরের ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৮ মার্চ রাত থেকে ১৯ মার্চ ভোর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,শাল্লা উপজেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলশের অভিযান অব্যাহত আছে।

অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে আটককৃতদের আপাতত নাম প্রকাশ করা হয়নি উল্লেখ করে ওসি জানান, বর্তামানে নোওয়া গাঁও গ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে পৃথক মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে একটির বাদি শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম, অন্য মামলার বাদি হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় হাবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।

মামলা দু’টিতে দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বকুলের দায়ের করা মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদরে শানে রিসালাত সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাতে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুমন দাস আপনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রচন্ড সমালোচনার মুখে ঝুমন দাসকে পরদিন রাতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ আটক করে। ঝুমন দাস এখন জেল হাজতে রয়েছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই রাতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করে এলাকাবাসী। পরদিন (১৭ মার্চ) বুধবার সকালে শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাচনি, সন্তোষপুর ও চন্দ্রপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৮৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

ঘটনার পর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও র‌্যাবের মহাপরিচালক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে পুলিশ ও র‌্যা বের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

পরিদর্শনকালে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, এ ঘটনার উস্কানিদাতা,মদদ দাতাসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

শাল্লায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় ২২ জন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৩:৪৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোওয়া গাঁও গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙ্গচুরের ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৮ মার্চ রাত থেকে ১৯ মার্চ ভোর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,শাল্লা উপজেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলশের অভিযান অব্যাহত আছে।

অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে আটককৃতদের আপাতত নাম প্রকাশ করা হয়নি উল্লেখ করে ওসি জানান, বর্তামানে নোওয়া গাঁও গ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে পৃথক মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে একটির বাদি শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম, অন্য মামলার বাদি হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় হাবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।

মামলা দু’টিতে দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বকুলের দায়ের করা মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদরে শানে রিসালাত সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাতে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুমন দাস আপনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রচন্ড সমালোচনার মুখে ঝুমন দাসকে পরদিন রাতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ আটক করে। ঝুমন দাস এখন জেল হাজতে রয়েছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই রাতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করে এলাকাবাসী। পরদিন (১৭ মার্চ) বুধবার সকালে শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাচনি, সন্তোষপুর ও চন্দ্রপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৮৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

ঘটনার পর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও র‌্যাবের মহাপরিচালক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে পুলিশ ও র‌্যা বের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

পরিদর্শনকালে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, এ ঘটনার উস্কানিদাতা,মদদ দাতাসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।সূত্র:বাসস।