যমুনায় আমদানিকৃত সার তোলা বন্ধ করে অবস্থান ধর্মঘট

যমুনায় সার কারখানায় আমদানিকৃত সার তোলা বন্ধ করে অবস্থান ধর্মঘট। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যমুনা সার কারখানায় আমদানিকৃত নিম্নমানের ও জমাট বাঁধা নষ্ট সার উত্তোলন বন্ধ করে অবস্থান ধর্মঘট ডেকেছে ডিলাররা। ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বিসিআইসি’র ডিলাররা এ সার উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ রেখে যমুনা সারকারখানার প্রধান গেটে অবস্থান ধর্মঘট করছে।

ডিলাররা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিমাসে বিসিআইসি’র তালিকাভূক্ত ডিলারদের যমুনার ইউরিয়ার সাথে আমদানিকৃত এক মে. টন সার গ্রহণ বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। এই এক মে. টন আমদানিকৃত সারের বস্তা দীর্ঘদিনের পুরনো, ছেঁড়া-ফাঁটা, জমাটবাধাঁ, গলিত ও পঁচা থাকে। এসব সার কৃষক ক্রয় না করায় মোটা অঙ্কের লোকসান গুণতে হয় ডিলারদের। আমরা ১ মে.টন পঁচাসার না নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ এটা সুরাহা না করায় ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে আমদানিকৃত পঁচা সার বরাদ্দ বন্ধের দাবিতে সার উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ করে দেন ডিলাররা। আজ সকাল থেকে বিসিআইসি’র ডিলাররা কারখানার গেটে গাছের গুড়ি ফেলে অবস্থান ধর্মঘট করছে।

কারখানার বিক্রয় বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মাসের ডিলারদের মধ্যে সার বরাদ্ধ দেওয়া হয় ৮০ হাজার মে. টন। কারখানার কমান্ড এরিয়ায় প্রতি ডিলারদের বরাদ্দ ১২ মে. টন। এই ১২ মে. টনের মধ্যে যমুনা সার কারখানার উৎপাদিত ১১ মে. টন ও বাইরে থেকে আমদানিকৃত ১ মে. টন সার গ্রহণ বাধ্যতামূলক। কারখানায় বাইরে থেকে আমদানিকৃত ২১ হাজার মে. টন ও যমুনায় উৎপাদিত ৮৩ হাজার মে. টন সার মজুদ রয়েছে। আমদানিকৃত নিম্নমানের সার গ্রহণ একযোগে সকল ডিলার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার বিক্রয় শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওয়ায়েছুর রহমান এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, আমদানিকৃত সারের একটি স্তূপ পরির্বতন করে অন্য স্তূপ থেকে নিতে চায় আমাকে বলেছে। সেটিও পরিবর্তন করে দিয়েছি। ডিলার প্রতিনিধিদের সাথে কথা হয়েছে তারা সার উত্তোলন করবে বলে জানিয়েছে।