দেওয়ানগঞ্জে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

আগুন তাপিয়ে শীত নিবারণ করছে নিম্নআয়ের মানুষ। ছবিটি উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর বাজার থেকে নেয়া। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

চারদিন ধরে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ। তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও যমুনা তীরবর্তী মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশাসহ হাড় কাপাঁনো শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে উপজেলার মানুষ। শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে দিন মজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ। পরিবারের মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, সীমান্তবর্তী ডাংধরা, চর আমখাওয়া, পাররামরামপুর হাতীভাংগা ও যমুনা তীরবর্তী চিকাজানি, চুকাইবাড়ী, উপজেলা জুড়ে নেমে এসেছে উত্তর পশ্চিমের কনকনে শৈত্যপ্রবাহ। প্রচণ্ড তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

ডাকরা গ্রামের ছলি আহাম্মদ বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। কাজ না করলে সংসার চলে না। কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ঠান্ডা বাতাসের কারণে আমরা কাম কাজে যাবার পাই না। সরকার ও কোনো সাহায্য দেয় না।

ভাত খাওয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা প্রতিদিন বদলা দিয়ে সংসার চালাই। ঘন কুয়াশা হিয়েল বাতাসের কারণে হাত পা অবশ হয়ে যায়। কোনো কাজকর্ম করতে পারি না।

পৌর শহরের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বলেন, কয়েকদিন যাবত প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে আমরা বাসা থেকে বের হতে পারছি না ব্যবস্যা বাণিজ্য অচল অবস্থা।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিৎসক আহসান হাবীব জানান, তীব্র শীতের কারণে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের রোগী বেশি দেখছি। আগের তুলনায় উপজেলায় সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি। আমরা সঠিকভাবে চেষ্টা করছি তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলেয়মান হোসেন জানান, দুর্যোগ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এমপির ব্যক্তিগত অর্থায়নে উপজেলার ৮ ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রাম ও অসহায় দরিদ্র পরিবারদের মাঝে সরকারের বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ. কে. এম. আব্দুল্লাবিন রশিদ জানান, দেওয়ানগঞ্জে তীব্র শীত ও টানা ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।