পুলিশের কথা মূল্যায়ন করেনি আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নালিতাবাড়ী বিএনপির মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ববানদের কথাও শোনে না আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা। তারা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে বিএনপি’র পথসভা ভন্ডুল করে দিয়েছে। এমন অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী বিএনপির মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন। ২২ জানুয়ারি দুপুরে স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বর কার্যালয়ে উপজেলা ও শহর বিএনপি’র আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ, ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাওয়াক্কুলিয়া মাদরাসা মাঠে প্রশাসনের কাছে দাখিল করা সিডিউল অনুযায়ী পূর্ব  নির্ধারিত নির্বাচনী পথসভা চলছিল। এসময় পাশে থাকা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান বাজনা শুরু করা হয়। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়। পরে পুলিশের একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাজনা বন্ধ করতে নিষেধ করে। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তার কথা মূল্যায়ন না করে গান বাজনা চালু রাখেন। ঘটনাটি থানার ওসি সাহেবকে অবহিত করা হয়। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে বিএনপি’র পথসভাস্থলে প্রবেশ করে এবং লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে সভা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় নৌকা মার্কার সমর্থকরা চেয়ার ও সাউন্ড সিস্টেম ভাংচুর করে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা আশরাফ, রিপন তালুকদারসহ অনেক ভোটার আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রতিদিন কোন না কোন জায়গায় তাদের নেতাকর্মীদের হুমকী এবং নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ বিভিন্নভাবে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে জোর করে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করছে। সভাস্থলে ভাংচুরের ঘটনায় আনোয়ার হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক নুরুল আমীন, যুগ্মআহ্বায়ক আশরাফ আলী ও শহর বিএনপি’র আহ্বায়ক এবং স্থানীয় বিএনপি’র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবু বকর বাক্কা বলেন, বিএনপি’র নির্বাচনী সভায় কোন লোকজন না আসায় তারা নিজেরাই চেয়ার ভাংচুর করে অন্যের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।