বকশীগঞ্জে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে ছাপরায় থাকা বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ালেন প্রকৌশলী আল ইমরান

প্রকৌশলী আল ইমরানের পাঠানো বিছানাপত্রসহ বিভিন্ন উপকরণ বৃদ্ধা তুলো বেওয়াকে দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে ৭৬ বছর বয়সি অসহায় এক বৃদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছেন আল ইমরান নামে এক তরুণ বস্ত্র প্রকৌশলী।

ওই বৃদ্ধা একটি ভাঙা ছাপরা ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও জামালপুর এসডিজি জেলা নেটওয়ার্কের সদস্য আবদুর রাজ্জাক মাহমুদ নামে একজন তার ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি প্রকৌশলী আল ইমরানের নজরে আসে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের পূর্ব কলকিহারা গ্রামের মৃত জমুর শেকের বিধবা স্ত্রী ৭৬ বছর বয়সি তুলো বেওয়া একখন্ড জমিতে একটি একচালা জরাজীর্ণ একটি ভাঙা ছাপরা ঘরে বসবাস করেন। তুলো বেওয়ার দুই ছেলেও অভাব ও দরিদ্রতার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তার দুই ছেলে কাছে না থাকায় অনেক কষ্টে ও অন্যের বাড়িতে চেয়ে খেয়ে কোন রকমে দিন কাটান এই বৃদ্ধা।

বিশেষ করে ছাপরা ঘরে অন্ধকারে রাতের বেলায় একা নির্জনে থাকেন তিনি। অর্থের অভাবে বিদ্যুত সংযোগটিও নিতে পারেন নি এই বৃদ্ধা।

প্রকৌশলী আল ইমরানের পাঠানো বিছানাপত্রসহ বিভিন্ন উপকরণ বৃদ্ধা তুলো বেওয়াকে দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বৃদ্ধা তুলো বেওয়ার এমন দুর্দশার কাহিনী ৭ জানুয়ারি দুপুরে ফেসবুকে পোস্ট করেন স্থানীয় আবদুর রাজ্জাক মাহমুদ নামে এসডিজি জেলা নেটওয়ার্কের এক সদস্য। তার এই পোস্ট দেখে বকশীগঞ্জের তরুণ বস্ত্র প্রকৌশলী ও সমাজ সেবক আল ইমরান পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ।

৮ জানুয়ারি সকালে আল ইমরান তার প্রতিনিধির মাধ্যমে একটি খাট, শীত নিবারণের জন্য একটি লেপ, তোষক, বালিশ, খাবারের জন্য চাল ও একটি নলকূপ ওই বৃদ্ধার বাড়িতে পাঠান। নলকূপটি তাৎক্ষণিকভাবে স্থাপন করা হয়।

জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করায় খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে তার একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ারও আশ্বাস দেন তরুণ সমাজসেবক আল ইমরান।

অসহায় বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ানোয় আল ইমরানের মানবিক এই কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

প্রকৌশলী আল ইমরান জানান, মানবিকতার কারণে আমি তার জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। যতদিন বেঁচে থাকব অসহায়, দুস্থ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাব।