মিলাদে আমন্ত্রণ না দেওয়ায় ঢাকাগামী ড্রীমল্যান্ড সার্ভিস বন্ধ!

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুর থেকে নতুন আঙ্গিকে চালু হওয়া ড্রীমল্যান্ড সার্ভিসের বাস ময়মনসিংহের বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা পথিমধ্যে আটকে দেওয়ার প্রতিবাদে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী সকল বাস বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় শ্রমিক ও মালিকরা। ৩ জানুয়ারি সকাল থেকে দূরপাল্লার সকল বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন হাজারো যাত্রী।

এক শ্রমিক নেতা জানান, ড্রীমল্যান্ড সার্ভিসটি চালু করতে প্রতিটি বাস একই ডিজাইনে রং করা এবং ২ জানুয়ারি এটির উদ্বোধন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলে ময়মনসিংহের মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের আমন্ত্রণ না জানানোর কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শহরের নবীনগর অস্থায়ী বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা-শেরপুর রুটে ড্রীমল্যান্ড নামে একটি বাস সার্ভিস চালু ছিল। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর বাস মালিকরা এ সার্ভিসটিকে আরও উন্নত করে আজ থেকে নতুনভাবে চালু করে। কিন্তু শেরপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ময়মনসিংহে ড্রীমল্যান্ড সার্ভিসের বাসগুলোকে আটকে দেয় সেখানকার বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা। এর প্রতিবাদে ঢাকাগামী সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শেরপুরের বাস মালিক ও শ্রমিকরা।

এদিকে আগাম ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন অসংখ্য ঢাকাগামী যাত্রী। বাস টার্মিনালে গিয়ে বাস চলাচল বন্ধ দেখে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা।

ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইয়ার মোহাম্মদ বলেন, দুপুরের বাসে ঢাকা যাওয়ার জন্য টার্মিনালে এসে দেখি সব সার্ভিস বন্ধ। যে কারণে এখন আমাকে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তার মতো হাজারো যাত্রীরা এমন দুর্ভোগে পড়েছে বলে তিনি জানান।

গৃহবধূ সিমু বলেন, ঢাকায় বসবারত তার ভাসুর গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাকে দেখার জন্য তিনিসহ তিনজন সকাল বেলা বাস টার্মিনালে এসেছেন ঢাকা যাবেন বলে, এখন বিকাল গড়িয়ে গেলেও বাস চলাচল করবে এমন কোন আভাস না পেয়ে এখন বাড়ি ফিরে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ময়মনসিংহ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক চানু’র বক্তব্যের উদ্বৃত্তি দিয়ে শেরপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মোস্তফা মস্তু বলেন, ড্রীমল্যান্ড সার্ভিসটি চালু করতে প্রতিটি বাস একই ডিজাইনে রং করা এবং ২ জানুয়ারি এটির উদ্বোধন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলে ময়মনসিংহের মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের আমন্ত্রণ না জানানোর কারণে এ সার্ভিসটি আটকে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, যদি ড্রীমল্যান্ড সার্ভিসটি চালু করতে দেওয়া না হয় তাহলে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী সকল সার্ভিস বন্ধ থাকবে।