ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি করতে হলে তারেক জিয়ার নামেই স্লোগান দিতে হবে : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ শেরপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ অনুষ্ঠিত জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদে শাকিলের প্রার্থিতা ঘোষণা সরিষাবাড়ীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি মাদারগঞ্জে যুবদলের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় নেতা-কর্মীদের ঢল নরুন্দি রেলস্টেশনে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জামালপুরে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত মাতলামির অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগনেতা নূর হোসেন আবহানী গ্রেপ্তার ইসলামপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় ফাঁকা, কিন্ডার গার্টেন, মাদরাসায় বাড়ছে শিক্ষার্থী মাদারগঞ্জে ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করেছে ছাত্রদল

শেরপুরে হত্যা ও শিক্ষার্থী ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

তাজেল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

তাজেল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে চাঞ্চল্যকর তাজেল হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। অন্যদিকে চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় আরও একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আখতারুজ্জামান এসব রায় ঘোষণা করেন।

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন সদর উপজেলার চান্দেরনগর চক্কারপাড় গ্রামের মৃত আহসান শেখের ছেলে বাদশা মিয়া, তার ছেলে ফকির আলী ও আলিনাপাড়া গ্রামের মৃত মিরাজ আলীর ছেলে হাসমত আলী। অন্যদিকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তের নাম আশরাফুল। তার বাড়ি জেলার নালিতাবাড়ীর পোড়াগাঁও ইউনিয়নে। সে স্থানীয় ধোপাকুড়া গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর সদর উপজেলার চান্দেরনগর গ্রামের দিনমজুর তাজেল মিয়াকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাদশা মিয়া, ফকির ও হাসমতসহ কয়েকজন লোহার রড, লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন তাজেলের ভাই জিয়ার বাদী হয়ে সদর থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১২ জুন ৭ জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সজীব খান। বিচারিক প্রক্রিয়ায় মামলার বাদী, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকসহ ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী চন্দন কুমার পাল পিপি এবং আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আলমগীর কিবরিয়া কামরুল।

এদিকে ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর ঈদের দিন নালিতাবাড়ী উপজেলার ধোপাকুড়া গ্রামে ব্র্যাক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে (১২) ফুসলিয়ে ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই গ্রামের বখাটে যুবক আশরাফুল। এ ঘটনায় ১৭ অক্টোবর নালিতাবাড়ী থানায় আশরাফুলকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই শিশুর পিতা। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাদী, ভিকটিম, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি আশরাফুল পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আইনজীবী চন্দন কুমার পাল মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি করতে হলে তারেক জিয়ার নামেই স্লোগান দিতে হবে : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ

শেরপুরে হত্যা ও শিক্ষার্থী ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৫:০৬:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
তাজেল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে চাঞ্চল্যকর তাজেল হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। অন্যদিকে চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় আরও একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আখতারুজ্জামান এসব রায় ঘোষণা করেন।

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন সদর উপজেলার চান্দেরনগর চক্কারপাড় গ্রামের মৃত আহসান শেখের ছেলে বাদশা মিয়া, তার ছেলে ফকির আলী ও আলিনাপাড়া গ্রামের মৃত মিরাজ আলীর ছেলে হাসমত আলী। অন্যদিকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তের নাম আশরাফুল। তার বাড়ি জেলার নালিতাবাড়ীর পোড়াগাঁও ইউনিয়নে। সে স্থানীয় ধোপাকুড়া গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর সদর উপজেলার চান্দেরনগর গ্রামের দিনমজুর তাজেল মিয়াকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাদশা মিয়া, ফকির ও হাসমতসহ কয়েকজন লোহার রড, লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন তাজেলের ভাই জিয়ার বাদী হয়ে সদর থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১২ জুন ৭ জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সজীব খান। বিচারিক প্রক্রিয়ায় মামলার বাদী, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকসহ ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী চন্দন কুমার পাল পিপি এবং আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আলমগীর কিবরিয়া কামরুল।

এদিকে ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর ঈদের দিন নালিতাবাড়ী উপজেলার ধোপাকুড়া গ্রামে ব্র্যাক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে (১২) ফুসলিয়ে ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই গ্রামের বখাটে যুবক আশরাফুল। এ ঘটনায় ১৭ অক্টোবর নালিতাবাড়ী থানায় আশরাফুলকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই শিশুর পিতা। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাদী, ভিকটিম, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি আশরাফুল পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আইনজীবী চন্দন কুমার পাল মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।