থানায় এসে কৃতজ্ঞতা জানালেন মফিল

বৃদ্ধ মফিল উদ্দিন ও তার স্ত্রী মাজেদা বেগম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

ঘরের বেড়া বুড়া ভাঙাইলছে, আন্দা (রান্না) করা ভাত ফালই দিছে, তগরে আর বাড়ি ঘরে থাকবার দিতাম না এই বলে ছেলে আমাদের হুমকি ধামকি দিত। পরে আন্নেরা (পুলিশ) যাওয়াতে এহন শান্তিতে আছি। কৃতজ্ঞতা জানাতে থানায় এসে শেরপুর সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সামনে মুখভরা হাসি নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন সদর উপজেলার গনইবড়ুয়াপাড়ার বৃদ্ধ মফিল উদ্দিন ও তার স্ত্রী মাজেদা বেগম। এমন একটি ভিডিও ফুটেজ ৩ নভেম্বর সকালে নিজ ফেসবুক পেজ এ আপলোড করেন ওসি। অন্যদিকে পুলিশের এমন ত্বরিত পদক্ষেপে সাধুবাদ জানিয়ে অনেকেই ওই ফেসবুক পেজে কমেন্ট করে যাচ্ছেন।

বৃদ্ধ মফিল উদ্দিন লিখিত অভিযোগে বলেন, তার ছেলে মাসুদ মিয়া (৩২) অসামাজিক মানুষ। সে কোন প্রকার ভরন পোষণ দিত না তাকে। ছেলে অকারণে নানা সময়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি ধামকি দিয়ে বসত বাড়ির জমিজমা লিখে নিতে চাইত। এক পর্যায়ে রান্না ঘর ও হাড়ি পাতিল ভাংচুর করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করে। শুধু তাই না ভবিষ্যতে ভরণ পোষণ চাইলে খুন করে ফেলার হুমকি দেয়। গত মাসের ২১ তারিখ সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধ এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ থানায় জমা দেন।

ওসি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। টহল পুলিশ পাঠনো হয় ওই বৃদ্ধের বাড়িতে। এ সময় পুলিশ আসার খবরে ছেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন মাসুদ মিয়াকে মাফ করে দিতে পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন। বর্তমানে ওই বৃদ্ধকে আর অত্যাচার নির্যাতন করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

এমডি শান্ত নামে একজন বলেন, সাধারণ গরীব খেটে খাওয়া মানুষ সরাসরি ওসি সাহেবের সাথে দেখা করে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার এটি অন্যতম দৃষ্টান্ত। যা পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

একরামুল হক নামে একজন বলেন, উত্তম সেবাই তার (মফিল উদ্দিন) পরিবর্তন এনে দিয়েছে।