দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ১৯ জনের

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালের চেয়ে আজ ৬ জন কম মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ২৫ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৯০৫ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত ২৬ অক্টোবর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।

৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪২২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ২২ হাজার ৭০৩ জন।

আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৭৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ১৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৬০৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

গতকালের চেয়ে আজ ৭৭ জন কম শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৪ হাজার ২৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৬৮১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ কম।

দেশে এ পর্যন্ত মোট ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৬ হাজার ৩৬৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩১ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৪৮ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ২৮৩টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১১২টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ১৪১ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৪ হাজার ২৬৮ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১২৭টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৩৮৬ দশমিক শূন্য ৭ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ১৮৯৪ দশমিক ৮৪ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৩৪ দশমিক ৬৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ১৯ জনের মধ্যে পুরুষ ১২ জন, আর নারী ৭ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ হাজার ৫৪১ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৩৬৪ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৯১ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ১৮ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের বছরের ৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১১ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৯ জন; যা দশমিক ৪৯ শতংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৪৬ জন; যা দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৩৪ জন; যা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩২৬ জন; যা ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৭৩২ জন; যা ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৫৬৩ জন; যা ২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৭৫ জন; যা ৫২ দশমিক ০৭ শতাংশ।

মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগ ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে ২ জন করে এবং রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে ১ জন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৬৬ জন; যা ৫১ দশমিক ৯২ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ১৭১ জন; যা ১৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৩৭১ জন; যা ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৪৬৮ জন; যা ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২০০ জন; যা ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৪৫ জন; যা ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ২৬২ জন; যা ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১২২ জন; যা ২ দশমিক ০৭ শতাংশ।