শেরপুরে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্যাকেট বিড়ি জব্দ, আটক ২

আটক দুই কর্মী

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের কথিত শিল্পপতি ইদ্রিস মিয়ার মালিকানাধীন দুটি অফিস থেকে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্যাকেট বিড়ি জব্দ করেছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, র‌্যাব-১৪ এবং জেলা প্রশাসন। ৩০ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে বারোটায় সদরের রশিদা বিড়ি ফ্যাক্টরির সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিহান মিল্ক এন্ড ফুড প্রসেসিং কারখানা ও শ্রীবরদী উপজেলার ফ্যাক্টরিতে এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কোম্পানির দুই কর্মীকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ৩০ জুলাই দুপুরে এ খবর লেখার সময় পৃথক পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

র‌্যাব ও এনএসআই সূত্র জানায়, কোম্পানির কর্মীরা বাজার থেকে ব্যবহৃত পুরাতন ব্যান্ডরোল কিনে ফের বিড়ির প্যাকেটে ব্যবহার করে পুনরায় বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে ওইসব বিড়ি মজুদ করা হয়েছিল। ইদ্রিস মিয়া নিজেই ওই বিড়ি কোম্পানির মালিক।

জব্দ করা বিড়ি

র‌্যাব-১৪, জামালপুরের কোম্পানি কমান্ডার সবুজ রানা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইদ্রিস এন্ড কোম্পানির মালিকানাধীন সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকার লছমনপুর ও শ্রীবরদী উপজেলার তাঁতীহাটির দুটি ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় রশিদা বিড়ি ফ্যাক্টরির সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিহান মিল্ক এন্ড ফুড প্রসেসিং কারখানা থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার এবং তাঁতীহাটি থেকে ৯০ হাজার পুরনো ব্যান্ডরোল জব্দ করা হয়। পুরাতন ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে কোম্পানিটি ৩ লাখ ৪০ হাজার প্যাকেট বিড়ি পুনরায় বাজারজাত করার লক্ষে মজুদ করে রাখে। কৌশলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০ লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছিল। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত শফিউল আলমসহ দুইজনকে আটক করা হয়।

এ সম্পর্কে জানতে রশিদা বিড়ি ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী ইদ্রিস মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।