বন্যায় শেরপুরের সাথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

কজওয়ের উপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হতে শুরু হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুরের সাথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ১৭ জুলাই সকাল থেকে ক্রমান্বয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করে। ফলে শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পোড়ার দোকান এলাকার কজওয়ের উপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হতে শুরু হয়। এই পথটি শেরপুর থেকে উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করতে ব্যবহার করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সময় যত গড়াচ্ছে পানির স্রোত ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন ডুবে যাওয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে কোন ভারী যানবাহন চলাচল করছে না। তবে বিকল্প সড়ক হিসেবে বলায়েরচরের ভেতর দিয়ে ছোট আকারের কিছু কিছু যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী, বলায়েরচর, কামারেরচরসহ আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সম্প্রতি ওই কজওয়েতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অধীনে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আর সেতুর নির্মাণের কারণে বিকল্প সড়কও তৈরি করা হয়েছে। এখন ওই সড়কটিও ধসে যাচ্ছে।

কোন ভারী যানবাহন চলাচল করছে না বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ আল মামুন।

অন্যদিকে বন্যার্তদের সহায়তায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ৬ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসএই জিয়াসমিন খাতুন জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার শুন্য দশমিক দুই পাঁচ, চেল্লাখালি নদীর পানি শূন্য দশমিক চার, ভোগাই নদীর পানি দুই দশমিক ছয় আট ও নাকুগাঁও নদীর পানি চার দশমিক এক চার মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।