শেরপুর পুলিশ সুপারের অনন্য উদ্যোগ

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে করোনা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জেলা পুলিশ বিভাগ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম বলেন, জনসাধারণের সেবা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ হয়। এ জন্য এ বাহিনীর সদস্যদের শারীরিক সক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি। তাই স্যার (পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম) এর নির্দেশনায় গত একমাস যাবত জেলার পাঁচ উপজেলার প্রতিটি থানায় প্রাতঃকালীন অনুশীলন শুরু হয়েছে।

আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, এ কার্যক্রমে পুলিশ লাইনস’র সদস্য, প্রতিটি থানার পুলিশ সদস্য, গোয়েন্দা শাখার সদস্য, কোর্ট পুলিশ এবং বিভিন্ন ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা অংশ গ্রহণ করেছে। তারা (পুলিশ সদস্যরা) থানা চত্বরে এবং সড়কে দৌঁড়ে অনুশীলন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। প্রতিটি ইউনিটে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে চলছে এ অনুশীলন। এর মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের শারীরিক সক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে বাহিনীর শৃংঙ্খলা উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম ২৭ জুন সকালে জানান, জেলার সদর উপজেলাসহ নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নকলা থানায় কর্মরত নয় শতাধিক পুলিশ সদস্য এ অনুশীলনে অংশ গ্রহণ করছে। প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত চলে এ অনুশীলন।

অনুশীলন করছেন পুলিশ সদস্যরা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামাল আহমেদ নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, করোনা মোকাবেলায় শেরপুর পুলিশ বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পুলিশ সদস্যরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছে। রোগীসহ স্বজনদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছে। প্রতিটি রোগীর বাড়ি লকডাউন কার্যকরে ভূমিকা রাখছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির সৎকারে সাহায্য করছে পুলিশ। শুধু তাই না অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার নিজে করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে গিয়ে খাবার সরবরাহ করছেন। এবং ওইসব বাড়ির নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

এই শিক্ষক মনে করেন, জেলার ১৬ লাখ মানুষের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের শারীরিক সক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। কারণ তারা সুস্থ থাকলেই জনসাধারণের সেবা নিশ্চিত হবে। এ কার্যক্রম পুলিশ সুপারের একটি অনন্য উদ্যোগ বলে তিনি উল্লেখ করেন।