নকলায় পৌরসভার ৩ ওয়ার্ড, ৩ ইউনিয়নে রেড জোন

শফিউল ইসলাম লাভলু, নকলা প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটডটকম

শেরপুরের নকলা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টি ওয়ার্ড রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রেড জোন ওয়ার্ডগুলো হল ১, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং বাকী ২, ৩, ৪, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩ নম্বর উরফা ইউনিয়ন, ৬ নম্বর পাঠাকাটা ইউনিয়ন ও ৮ নম্বর চরঅস্টধর ইউনিয়ন রেড জোন, ২ নম্বর নকলা ইউনিয়ন ও ৫ নম্বর বানেশ্বর্দী ইউনিয়ন গ্রিন জোন এবং ৪ নম্বর গৌড়দ্বার (সাবেক কুর্শবাদাগৈড়) ইউনিয়ন, ৭ নম্বর টালকী ইউনিয়ন এবং ৯ নম্বর চন্দ্রকোনা ইউনিয়নকে ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

নকলা উপজেলার করোনা আক্রান্তের জোনিংয়ে দেখা যায়, এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা ৫৭০ জনের মধ্যে প্রতিবেদন এসেছে ৫৬৬ জনের, মোট করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৪১ জনের শরীরে, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন মহিলা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ১৯ জন, হোম আইসোলেশনে আছেন ১৮ জন, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন ১ জন।

১৭ জুন সকালে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ের কক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে আলোচনা সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মজিবুর রহমান এসব তথ্য তুলে ধরেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নকলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকা ভিত্তিক কঠোর লকডাউন ঘোষণাসহ আরও কঠোর কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি। নকলা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের মাইকের মাধ্যমে প্রচার করে বিকেল ৪টার পরে যাতে কোন দোকান খোলা না রাখে সেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যদি কেউ কথা না শুনে বা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও মাস্ক ব্যবহার না করে চলাফেরা করে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খোলা থাকবে শুধুমাত্র ওষুধের দোকান। নকলা উপজেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ স্বেচ্ছাসেবকরাও আমাদের এই করোনা মোকাবিলায় প্রতিনিয়তই সহযোগিতা করছে। আমার একার পক্ষে এর মোকাবিলা করা সম্ভব না। আপনাদের আরও সহযোগিতা পেলে এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকজনরাও যদি করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনের পাশে থাকে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তাহলে আমরা নকলাকে করোনা মুক্ত উপজেলা ঘোষণা দিতে পারব।