শ্রীবরদীতে এক নববধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম সামিয়া বেগম (১৮)। ১৬ জুন দুপুরে উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের বাদেঘোনাপাড়া গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সামিয়া ওই গ্রামের বিপ্লব মিয়ার স্ত্রী। প্রায় ১১ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। এদিকে সামিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে রহস্যজনক কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে গুঞ্জন ওঠেছে এলাকায়।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সামিয়া বেগম নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ কালাদি এলাকার বাবুল মিয়ার মেয়ে। শ্রীবরদীর বাদেঘোনাপাড়া গ্রামের বিপ্লব মিয়া তার ব্যবসায়ী বাবা আইয়ুব আলীর ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের সামনে ক্ষুদ্র ব্যবসা দেখা শোনা করতেন। সেখানেই সামিয়ার সাথে তার পরিচয় হয়। প্রায় ১১ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিপ্লব তার স্ত্রী সামিয়া বেগমকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে সামিয়ার সাথে তার শাশুড়ির তুচ্ছ ঘটনায় মাঝে মধ্যে কথা কাটাকাটি হতো। ১৫ জুন বিকালে সামিয়ার সাথে আবারও বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সামিয়া। পরে বাড়ির লোকজন রাতে দরজা ভেঙে দেখতে পায় সিলিং ফ্যানের সাথে তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন সামিয়ার মরদেহ মাটিতে নামিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ১৬ জুন দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় বিপ্লব মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন।

এদিকে সামিয়ার বাবা বাবুল মিয়া জানান, তার মেয়ে কিছুদিন যাবৎ মানসিক রোগে ভোগছিলেন। তিনি লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি চেয়ে থানায় আবেদন করেছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান জুবায়েল আহমেদ বলেন, ওই নববধূর বাবা নিজেই বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা করার জন্য এসেছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।