শেরপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে পিডিবিকর্মীর মৃত্যু : পৌর এলাকা লকডাউন করার প্রক্রিয়া চলমান

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সানোয়ার হোসেন নামে এক পিডিবিকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ১৬ জুন ভোর রাতে জেলা সদর হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তার বাড়ি শেরপুর শহরের বাগরাকসা কাজী বাড়ি এলাকায়। এনিয়ে জেলায় তিনজন করোনা শনাক্ত রোগীর মৃত্যু হলো।

করোনা রোগী সংক্রান্ত তথ্য নিশ্চিতকারি কর্মকর্তা চিকিৎসক মোবারক হোসেন জানান, সানোয়ার ঢাকায় পিডিবিতে হেড ক্লার্কের চাকরি করতেন। সেখানে অসুস্থ অবস্থায় নমুনা পরীক্ষা করার চেষ্টা করে তিনি বিফল হন। পরে শেরপুরের নিজ বাড়িতে ফিরে এসে ১০ জুন নমুনা পরীক্ষা করতে দেন। এবং ১২ জুন তিনি করোনা পজিটিভ হন। এরপর থেকে তিনি বাড়িতে আইসোলোশনে ছিলেন। ১৬ জুন রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।

চিকিৎসক মোবারক আরও জানান, মৃতের লাশ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সংরক্ষণ করা হয়। পরে তার আরেক বাড়ি পাশ্ববর্তী জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে দাফনের কাজ সম্পন্ন হবে। এছাড়া মৃতের পরিবারের পাঁচ সদস্যের কাছ থেকে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগহ করা হয়েছে। এগুলো এখন পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ল্যাবে পাঠানো হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন অনুযায়ী এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের প্রক্রিয়া চলমান আছে। তবে সানোয়ার হোসেন যে এলাকায় মারা গেছেন সেটি রেড জোনে পড়েছে। এছাড়া পুরো পৌর এলাকা লকডাউনের আওতায় আনার চিন্তা ভাবনা চলছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় মোট ১৮৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯৫ জন রোগী। আর এ পর্যন্ত দুই হাজার ৯৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা। ফলাফল পাওয়া গেছে দুই হাজার ৭৫৫টি নমুনার। আর পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ১৮০টি নমুনা।