জামালপুরে একই পরিবারের তিনজনসহ নতুন করোনায় আক্রান্ত ৪, জেলায় মোট ২৪৪    

 
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে ১ জুন ছয়তলা একটি আবাসিক ভবনের একই পরিবারের তিনজনসহ নতুন করে আরও চারজন করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও মা জামালপুর শহরের বানাকুড়া এলাকায় একটি ছয়তলা আবাসিক ভবনের বাসিন্দা এবং অপরজন শহরের বোসপাড়া এলাকার একজন মাইক ব্যবসায়ী। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ২৪৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। জামালপুর সদরের ইউএইচএফপিও এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, ১ জুন ময়মনসিংহের পিসিআর ল্যাবে জামালপুর জেলার ৬৫টি নমুনা পরীক্ষায় চারজনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত এই চারজনের মধ্যে জামালপুর শহরের বোসপাড়া এলাকার একজন মাইক ব্যবসায়ী (৫৫) এবং শহরের বানাকুড়া এলাকায় একটি ছয়তলা আবাসিক ভবনের নিচতলার ফ্লাটের একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বানাকুড়া এলাকার ওই ভবনের বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সের গৃহকর্তা ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাসায় আসেন তিনি। তখন তার জ্বর ও গলাব্যথার উপসর্গ থাকায় গত ২৮ মে স্বেচ্ছায় তিনিসহ স্ত্রী (৩০), শিশু বয়সের দুই ছেলে-মেয়ে ও মা (৫৫) এই পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষা করাতে দেন। ১ জুন আসা প্রতিবেদনে ওই গৃহকর্তা, স্ত্রী ও মায়ের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।

এদিকে ১ জুন রাতে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের খোঁজ করে আইসোলেশনে রাখার প্রক্রিয়া করতে গিয়ে জানতে পারেন ওই গৃহকর্তা নমুনা দেওয়ার পর একা ঢাকায় চলে গেছেন। তার দেওয়া ফোন নম্বরের সূত্র ধরে পরে তার সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি ঢাকায় রাজারবাগে তার নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। জামালপুর শহরের বানাকুড়া এলাকায় ওই ছয়তলা ভবনে ২৪টি পরিবার বসবাস করে। ওই ভবনের একই পরিবারের তিনজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই গৃহকর্তা ঢাকায় তার বাসায় এবং তার স্ত্রী ও মা জামালপুরে নিজেদের ফ্লাটে আইসোলেশনে এবং উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ছয়তলা ওই ভবনটি লকডাউন করার প্রক্রিয়া চলছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জামালপুর সদরের ইউএইচএফপিও চিকিৎসক মো. লুৎফর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, ১ জুন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া চারজনের করোনার উপসর্গ স্বাভাবিক থাকায় তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। একই পরিবারের তিনজনের মধ্যে ওই পরিবারের গৃহকর্তা ঢাকায় রাজারবাগে তার বাসায় অবস্থান করায় তাকে সেখানেই আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। এছাড়া তার স্ত্রী ও মাকে শহরের বানাকুড়ায় তাদের ফ্ল্যাটেই হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ওই ভবনের বাসিন্দা ও আশপাশের বাসিন্দাদের করোনা থেকে সুরক্ষার স্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে ২ জুন ওই ভবনটি লকডাউন করার প্রক্রিয়া চলছে।