বকশীগঞ্জে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বিরামহীন পথচলা প্রশাসনের

বকশীগঞ্জে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ইউএনও আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার অভিযান চালান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা পেতে বিরামহীনভাবে মাঠে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।

রাত-বিরাতে, মাঠে-ঘাটে মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আহ্বান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার ও বকশীগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাটের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সকাল থেকে রাত অবদি প্রশাসনের কর্মকর্তারা মানুষকে বুঝিয়ে, অনুরোধ করে, অনেক সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। একদিকে করোনা মোকাবেলা, অন্যদিকে মানুষের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা সর্বাত্মকভাবে কাজ করছেন।

স্থানীয় প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করলেও ঢাকা থেকে কিছু মানুষ গ্রামে ফিরে আসলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ব্যাঘাত ঘটেছে। অপরদিকে ঈদ উপলক্ষে বকশীগঞ্জ শহরে করোনার ঝুঁকি উপক্ষো করে মানুষ বাজারমুখী হতে শুরু করেছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মানুষগুলো ঈদ মার্কেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ফলে নিরুপায় হয়ে মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্থানীয় প্রশাসন বকশীগঞ্জ শহরে মানুষের প্রবেশ এবং যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি করেন। তাতেও যেন মানুষের হুঁশ ফেরেনি। বাধ্য হয়ে ২০ মে দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দিয়ে শহরে পানি নিক্ষেপ করানো হয়।

এ সময় ইউএনও আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার এবং ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট মানুষকে বাজার থেকে সড়ানোর জন্য চেষ্টা করেন। পানির আচর পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে পুরো শহর ফাঁকা হয়ে যায়।

প্রশাসনের এ রকম বিরামহীন পথচলা সহজ না হলেও মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে তবুও মানুষের পাশে রয়েছেন আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার এবং শফিকুল ইসলাম সম্রাট।