শেরপুরের ভারুয়া আবাসন প্রকল্পের দুই শতাধিক ছিন্নমূল খাদ্য সংকটে

ভারুয়া আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারি ৪৫টি পরিবারের প্রায় দুই শতাধিক কর্মহীন মানুষের হাতে এখনও পৌঁছায়নি কোন খাদ্য সহায়তা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ভারুয়া আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারি ৪৫টি পরিবারের প্রায় দুই শতাধিক কর্মহীন মানুষের হাতে এখনও পৌঁছায়নি কোন খাদ্য সহায়তা। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে ওই পরিবারগুলো।

সূত্র জানায়, উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভারুয়া গ্রামে ১৯৯০ সালে পাঁচ একর জমির উপর সরকার এ আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করে। আর সেখানে ছিন্নমূল হিসাবে চিহিৃত একশটি পরিবার মাথা গোজার ঠাঁই পায়।

আবাসনের সাবেক সভাপতি শাহাবুল মিয়া বলেন, এখানে থাকার জায়গা পেলেও ব্যবস্থা করা হয়নি কর্মসংস্থানের। যে কারণে এখান থেকে ৫০টি পরিবার জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে। বাকি ৫০টি পরিবারের নারী পুরুষ ও শিশুসহ দুই শতাধিক লোকের বসবাস এ আবাসনে।

আবাসনের বাসিন্দা বুদু মিয়া বলেন, তারা সবাই খেটে খাওয়া শ্রমজীবী। একদিন কাজে না গেলে তাদের ঘরে চুলা জ¦লে না। তিনি জানান, করোনার কারণে এক মাসেরও অধিক সময় ধরে তারা কর্মহীন। ফলে প্রতিটি পরিবারের ঘরে দেখা দিয়েছে খাদ্যের অভাব। এছাড়া কর্মহীন থাকায় পরিবারের সদস্যদের ভরণ পোষণ করতে না পেরে তারা এখন দিশেহারা। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের ভাগ্যে জুটেনি সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা।

ভারুয়া আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারি ৪৫টি পরিবারের প্রায় দুই শতাধিক কর্মহীন মানুষের হাতে এখনও পৌঁছায়নি কোন খাদ্য সহায়তা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

অন্যদিকে ওই আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী ৯টি পরিবারকে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা জানিয়েছেন নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা।

এ প্রসঙ্গে আবাসনের সভাপতি ফজল হক জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, এ পর্যন্ত পাঁচটি পরিবার চাল পেলেও বাকিরা পায়নি কিছুই।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, আবাসনের ঘরগুলো এখন বসবাসের অনুপযোগী। নেই নলকূপের ব্যবস্থা। তাই অন্য গ্রাম থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে আনতে হচ্ছে। তাদের খোঁজ খবর নেয়ার কেউ না থাকায় অভাব অনটন আর দুঃখ দুর্দশা আবাসনের বাসিন্দাদের এখন নিত্য দিনের সঙ্গী।

এ সম্পর্কে জানতে ১০ মে দুপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহামুদের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকবার রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।