ফুলকোচায় অন্য সমাজভুক্ত করার প্রতিবাদ করায় যুবলীগনেতার দোকান ভাংচুর, লুটপাট

যুবলীগনেতা শরিফুল ইসলাম মনজুর দোকানের বেড়া কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে হামলাকারীরা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বাংলারচিঠিডটকম

বর্তমান সমাজ থেকে কয়েকটি পরিবাররকে অন্য সমাজের আওতাভুক্ত করার প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এক যুবলীগনেতার দোকান ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করেছে। ৩০ এপ্রিল দুপুরে জেলার মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত যুবলীগনেতা শরিফুল ইসলাম মনজু এ ঘটনার বিচার চেয়ে ১ মে মেলান্দহ থানায় অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী ওই যুবলীগনেতা ও সাত-আটটি পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলকোচা দক্ষিণপাড়ার সমাজকে বিভক্ত করে সাত-আটটি পরিবারকে পাশের রাজাপুর সমাজের অন্তর্ভুক্ত করে দেন ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ। ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শরিফুল ইসলম মনজুসহ সাত-আটটি পরিবার বাপ-দাদার পুরনো সমাজ রেখে অন্য সমাজে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। কয়েকদিন ধরে তারা এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেও তারা কোনো প্রতিকার পাননি।

তাদের এই প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে সমাজ বিভক্তকারী ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগনেতা মামুনুর রশিদের নির্দেশে তার সমর্থক একদল লোক ফুলকোচা বাজারে যুবলীগনেতা শরিফুল ইসলাম মনজুর মনোহারি দোকানে হামলা চালিয়ে দোকানের ব্যাপক ক্ষতিসাধান করে। হামলাকারীরা দোকানের দরজা ও টিনের বেড়ায় কোপায়। তারা দোকানের ভেতরে ফটোকটি মেশিন ও অন্যান্য মালামাল ভাংচুর এবং কম্পিউটারের সিপিইউসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে শরিফুল ইসলম মনজু বাদী হয়ে ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মেলান্দহ থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু অভিযোগ করার পরও পুলিশ এ ব্যাপারে কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিযোগকারী ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মামুনুর রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ওই হামলার ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। আমি তখন মেলান্দহে ছিলাম। শুনেছি যে যুবলীগনেতা শরিফুল ইসলাম মনজু আমার সমর্থকদের ধাওয়া করলে দলীয় কয়েকজন ছেলেপুলে দোকানে হামলা করেছিল। সমাজ বা ওয়ার্ড বিভক্ত করার এখতিয়ার আমার নেই। একই ওয়ার্ডকে দুই ভাগ করে দুটি ত্রাণ কমিটি করা হয়েছে। যুবলীগনেতা শরিফুল ইসলাম মনজু ও তার লোকজনরা এটা মানতে চান না। বিষয়টি আমরা মিটমাট করার চেষ্টা করছি।’

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান ৩ মে রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ফুলকোচার ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’