নকলায় করোনা আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে ৩ জন সুস্থ

চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল নোমানকে ছাড়পত্র প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মুহাম্মদ মজিবুর রহমান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় করোনা আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে নকলা হাসপাতালের সহকারী সার্জন চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল নোমান, মালী রমজান আলী ও চরভাবনার গ্রামের গর্ভবতী মা সরুফা বেগম সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ২ মে দুপুরে নকলা উপজেলা হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন থেকে চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল নোমানকে ছাড়পত্র প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মুহাম্মদ মজিবুর রহমান। সরুফা বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এবং রমজান আলী শেরপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থেকে ৩ মে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে করোনা আক্রান্তের সন্দেহে উপজেলার ১৪১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে, তা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে নকলা হাসপাতালের চিকিৎসক সৌরভ কুমার সরকার ও চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ বাগানের মালী রমজান আলী এ ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাছাড়া উপজেলার বাসিন্দা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের কর্মচারী মো. রনি মিয়া ও ঢাকা ফেরত গর্ভবতী মা সরুফা বেগম সন্তান প্রসবের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে তাদের করোনা পজেটিভ আসে।

উল্লেখ্য, নকলা হাসপাতালের দুই চিকিৎসক সৌরভ কুমার সরকার ও আব্দুল্লাহ আল নোমান, মালী রমজান আলী, উপজেলার চরভাবনার গর্ভবতী মা সরুফা বেগম ও বিষ্ণপুরের রনি মিয়া (ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের কর্মচারী) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। পরে তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়। দীর্ঘদিন আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করা হলে চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল নোমান, গর্ভবতী মা সরুফা বেগম ও মালী রমজান আলীর শরীরা করোনার কোন উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এখন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।