জামালপুরে এসি ল্যান্ড, স্বাস্থ্য ও পোশাককর্মীসহ আরো সাতজন করোনায় আক্রান্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদরের এসি ল্যান্ড ও স্বাস্থ্য বিভাগের পাঁচজনসহ নতুন করে জেলায় আরো সাতজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জফেরত একজন পুরুষ গার্মেন্টকর্মীও রয়েছেন। ২ মে সন্ধ্যায় পাওয়া নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাদের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৭৪ জন করোনার রোগী শনাক্ত হল।

জামালপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের করোনা পিসিআর ল্যাব থেকে ২ মে সন্ধ্যায় পাওয়া নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে জামালপুর জেলায় নতুন করে আরো সাতজন করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে জামালপুর সদরের তিনজনের মধ্যে ভূমি বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নারী এবং তার বয়স ৩১ বছর। এছাড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন মালী (২৯) এবং সদর ইউএইচএফপিও কার্যালয়ের অফিস সহায়ক (৩৫) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

দেওয়ানগঞ্জ হাসপাতালের আরএমও চিকিৎসক  নাফিজুর রহমান জানান, এ উপজেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি দেওয়ানগঞ্জ হাসপাতালের হারবাল সহকারী (৩৩)। তাকে জামালপুরে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের একটি আবাসিক ভবনে ব্যাচেলর হিসেবে বসবাস করেন। ৩ মে তার সংস্পর্শে আসা ওই ভবনে বসবাসকারী আরো পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নমুনার প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত তাদের ওই ভবনেই কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইসলামপুরের ইউএইচএফপিও চিকিৎসক এ এ এম আবু তাহের জানান, এ উপজেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত তিন ব্যক্তির মধ্যে উপজেলা হাসপাতালের হিসাবরক্ষক (৩৫) ও অ্যাম্বুলেন্স চালক মফিজুল হক (৫০) রয়েছেন। হিসাবরক্ষককে জামালপুর সদরের নান্দিনায় তার বাড়িতে আইসোলেশনে এবং অ্যাম্বুলেন্স চালককে হাসপাতালের আবাসিক ভবনে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ উপজেলায় আক্রান্ত ৩৮ বছর বয়সের ব্যক্তিটি নারায়ণগঞ্জফেরত গার্মেন্টকর্মী। তাকে উপজেলার উত্তর দরিয়াবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ৩ মে সকালে এই তিন ব্যক্তির সংস্পর্শে ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

জামালপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন চিকিৎসক মুহা. মাহফুজুর রহমান সোহান এ প্রতিবেদককে জানান, করোনায় আক্রান্ত তার কার্যালয়ের মালীকে সদরের তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে তার বাড়িতে আইসোলেশনে এবং সদর ইউএইচএফপিও কার্যালয়ের অফিস সহায়ককে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত ৩১ বছর বয়সের এসি ল্যান্ডকে কোথায় আইসোলেশনে রাখা হবে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি।

তবে সদরের ইউএনও ফরিদা ইয়াছমিন এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই সদরের এসি ল্যান্ড শহরের দেওয়ানপাড়ায় তার বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। তার শিশু সন্তান থাকায় তাকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকাই জরুরি মনে করছি। সেজন্য তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাসা থেকে সরিয়ে সরকারি ডাকবাংলোয় বা সুবিধাজনক স্থানে আইসোলেশনে রাখার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।